This Article is From Mar 08, 2020

মোদি সরকারের জব পোর্টালে চাকরির আবেদন এক কোটির

২০১৫ সালে মোদি সরকার বিশেষ উদ্যোগ নেয় চাকরির খোঁজে থাকা বেকার ও কর্মী-সন্ধানে থাকা সংস্থাগুলিকে এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার।

মোদি সরকারের জব পোর্টালে চাকরির আবেদন এক কোটির

এখনও পর্যন্ত ওই পোর্টালে নথিবদ্ধ বেকারের সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়েছে।

হাইলাইটস

  • সরকারের চাকরির পোর্টালে নাম নথিবদ্ধ করেছেন এক কোটিরও বেশি বেকার
  • চাকরির খবর রয়েছে ৬৭.৯৯ লক্ষ জনের
  • কতজন চাকরি পেয়েচেন, সেকথা পোর্টাল থেকে জানা যাচ্ছে না
নয়াদিল্লি:

এক কোটিরও বেশি বেকার মানুষ মোদি সরকারের জব পোর্টালে চাকরির জন্য অনুরোধ করেছেন। ৬৭.৯৯ লক্ষ চাকরির তথ্য রয়েছে পোর্টালে। এর মধ্যে কতজন নথিবদ্ধ বেকার ওই চাকরি পেয়েছেন, সেই তথ্য সরকারি পোর্টালে নেই। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার এর আগে লোকসভায় এক প্রশ্নের জবাবে পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন যে এনসিএস পোর্টালের মাধ্যমে কতজন লোক চাকরি পেয়েছেন সে বিষয়ে তথ্য রাখা হয় না। পোর্টালটিতে রয়েছে নথিবদ্ধ শূন্যপদ ও নথিবদ্ধ বেকার সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে মোদি সরকার বিশেষ উদ্যোগ নেয় চাকরির খোঁজে থাকা বেকার ও কর্মী-সন্ধানে থাকা সংস্থাগুলিকে এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার। এরপরই শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক এই পোর্টালটি চালু করে।

এই পোর্টালে কর্মহীনরা নিজেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য দিয়ে একটি প্রোফাইল তৈরি করেন। একই সঙ্গে, চাকরি সরবরাহকারী সংস্থাগুলিও এখানে নিজেদের বিবরণ নথিবদ্ধ করতে পারে।

২০১৫ সাল থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত ওই পোর্টালটি দেখলে দেখা যাবে চাকরি প্রার্থীর তুলনায় কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়। প্রথম বছর ২০১৫-১৬ সালে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৮০টি চাকরির কথা পোর্টালটির দ্বারা জানানো হয়েছিল। ওই বছর চাকরি পেয়েছিল ৩২ হাজার ৯১৬ জন। প্রথম বছর চাকরি দেওয়া কেবল ৫৫৯টি সংস্থা পোর্টালে রয়েছে।

ধীরে ধীরে পোর্টালের খবর ছড়াতে শুরু করলে কর্মহীনের সংখ্যা আরও বাড়তে শুরু করে। ক্রমে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। বর্তমানে এক কোটি চার লক্ষ ৫৪ হাজার ৮০৮ জন বেকার রয়েছেন সেখানে। যেখানে শূন্যপদ মাত্র ২৬ হাজার ৩০৮টি।

সবথেকে বেশি কর্মসংস্থান রয়েচে কর্নাটকে। দ্বিতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র। এই দুই রাজ্যে যথাক্রমে ৪৫,৭৬৪ ও ৪২,৫০৬টি কর্মসংস্থান রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ৪.,৪১৭টি কর্মসংস্থান রয়েছে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের সঙ্গে যুক্ত এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘‘এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কর্মপ্রত্যাশীদের সরকারি ও বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থান সম্পর্কে অবহিত করা হয়। সেজন্য এই পোর্টাল সম্পর্কে সকলকে জানানো হয়েছে। সংস্থাগুলিকেও পোর্টালে যোগদানের জন্য উৎসাহিত করা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেকারদের নথিভুক্তকরণ ও চাকরির খবর এই পোর্টালে বৃদ্ধি পেয়েছে।''



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.