গোরক্ষপুর: সারা দেশে লকডাউন (Lockdown)। ছেলেরা সবাই বাইরে কাজ করেন। যানবাহন বন্ধ থাকায় কেউ হেঁটে ফিরতে পারেননি। এদিকে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন ৭০ বছরের সুমিত্রা দেবী। অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটায় মৃত্যু হয় তাঁর। তিন ছেলের অনুপস্থিতিতে অবশেষে শাশুড়ির সৎকার করলেন বউমা নীতু। করোনা মহামারী অবশেষে ভাঙল উত্তরপ্রদেশের দেবরিয়া জেলার সংস্কারের অচলায়ন। এখানে এর আগে কোনোদিন শাশুড়ির সৎকার ছেলের বউয়েরা করেননি। খবর, বউমা অসুস্থ শাশুড়িকে অ্যাম্বুলেন্স করে কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরেই পুত্রবধূ এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হন।
'মোমবাতি জ্বালানোর আগে স্যানিটাইজার নয়', মোদির নয়া ফরমান
এরপরে নীতু সালেমপুর নগর পঞ্চায়েত প্রধান জেপি মাধেসিয়ার কাছে গিয়ে পুরো বিষয়টি জানিয়ে শ্বাশুড়ির শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। মাধেসিয়া পরে সাংবাদিকদের জানান, নীতু অত্যন্ত সাহসী মনের। একজন ছেলের দায়িত্ব পালন করেছেন। ওর জন্য তিনি গর্বিত।
গোটা বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারতেও বাড়ছে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus India) আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় এদেশে নতুন করে ওই মারণ ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ৫২৫ জন, প্রাণ গিয়েছে ১৩ জনের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গোটা দেশে বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩,০৭২ জন। এর মধ্যে ৭৫ জনের ইতিমধ্যেই মৃত্যু (Coronavirus India Deaths) হয়েছে। ফলে আতঙ্ক যেন ক্রমশ আরও জাঁকিয়ে বসছে দেশের মানুষের মনে। সরকারি আধিকারিকদের মতে গত মাসে দক্ষিণ দিল্লিতে ইসলামী গোষ্ঠী তাবলিগ-ই-জামাতের ধর্মীয় সমাবেশে উপস্থিত কিছু মানুষের মাধ্যমেই এই সংক্রমণ আরও দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে দেশ জুড়ে। এখনও পর্যন্ত ওই জমায়েতে যাঁরা হাজির হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ৩৬০ জনেরও বেশি মানুষের শরীরে ধরা পড়েছে COVID-19 ভাইরাসের সংক্রমণ। সব মিলিয়ে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেছে মারণ ভাইরাস করোনা।
ভারতে ৩০০০ পেরোলো করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত ৭৫; একদিনে নতুন আক্রান্তের রেকর্ড
করোনা সংক্রমণ এড়াতে দেশ জুড়ে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই অবস্থা। কিন্তু তার মধ্যেও দেখা যাচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ফলে চিন্তায় ৮ থেকে ৮০ সকলেই। প্রতি মুহূর্তেই মৃত্যুর আতঙ্ক গ্রাস করছে দেশবাসীকে।
Video: কবর দেওয়ার আগেই প্রাণ ফিরল নবজাতকের