ঘরের মধ্যে কফি টেবিল এবং সোফার মধ্যে দিয়ে উঁকি মারা অবস্থায় পর্বত সিংহটির একটি ছবি টুইটও করেছে বোল্ডার পুলিশ
ডেনভার: জঙ্গল থেকে বেরিয়ে মানুষের বাড়িতে ঢুকে পোষ্যদের মেরে ফের পালিয়ে গেল পাহাড়ি সিংহ। শুক্রবার বন্যপ্রাণি দফতরের মানুষজন কয়েক রাউন্ড গুলি করার পরেই কলোরাডোর ওই বাড়ি থেকে পালায় সিংহটি ।
কলোরাডো পার্ক এবং বন্যপ্রাণ বিভাগের মুখপাত্র জেসন ক্লে একটি বিবৃতিতে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে কলোরাডো পাদদেশে বোল্ডারের একটি বাড়িতে খোলা দরজা দিয়ে ঢুকে পড়ে এই পাহাড়ি সিংহ টি। বাসিন্দারা কেউই বাড়িতে ছিলেন না সেই সময়। বাড়িতে ফেরার পরেই সিংহ টিকে দেখতে পান বাসিন্দারা। তক্ষুণি ফোন করে খবর জানান হয় পুলিশে।
বন্যপ্রাণি দফতরের কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নেন যে, বীন ব্যাগের গুলি করেই বাইরে নিয়ে আসতে হবে সিংহ টিকে। কমপক্ষে এক রাউন্ড গুলি চালানো হয় ওই প্রাণিটিকে লক্ষ করে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "গুলি চালানোর পরে কর্মকর্তারা দেখেন রাস্তা দিয়ে দৌড়াচ্ছে সিংহ টি। তাঁদের অনুমান, বোল্ডার ক্যানিয়নের কাছাকাছি পাদদেশে পালিয়েছে সে।" বোল্ডার পুলিশের মুখপাত্র সার্জেন্ট ক্রিস্টি পিটারসন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, পোষ্য বিড়ালগুলির মৃতদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন উপস্থিত আধিকারিকেরা। বিড়ালের মালিক জানান, প্রায় 10 বছরেরও বেশি সময় ধরে পোষ্য বেড়াল ক্লনডিকই চিল তাঁর প্রিয় সঙ্গী। "ক্লনডিকের সঙ্গে বসবাস করা কঠিন ছিল , কিন্তু যতই হোক, আমার প্রিয় বেড়াল চিল সেটি। এভাবে ওকে মরতে হয়েছে ভেবেই খারাপ লাগছে”-বলেন পোষ্যের মালিক।
ঘরের মধ্যে কফি টেবিল এবং সোফার মধ্যে দিয়ে উঁকি মারা অবস্থায় পর্বত সিংহটির একটি ছবি টুইটও করেছে বোল্ডার পুলিশ।
ন্যাশনাল ওয়াইল্ড লাইফ ফেডারেশন অনুযায়ী, পর্বত সিংহ, যারা পুমা বা প্যান্থার নামেও পরিচিত আদতে আমেরিকার বাসিন্দা। কানাডিয়ান ইয়ুকন থেকে দক্ষিণ আমেরিকার শেষভাগ পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে দেখা মেলে এঁদের।
বোল্ডারের বাসিন্দা লেখক ডেভিড ব্যারন তাঁর বই "দ্য বিস্ট ইন দ্য গার্ডেন"-এও লিখেছেন কীভাবে প্যান্থার আর পর্বত সিংহদের সাথে মিলেমিশেই থাকতে হয় এই এলাকার অধিবাসীদের। তিনি বলেন যে পাহাড়ের সিংহ মানুষকে এড়িয়ে চলতে শিখবে যদি তারা হজম হয়। ডেভিড বলেন, "পর্বত সিংহরা যদি কোনও বাড়িতে ঢুকে পড়ে আর বিন ব্যাগের গুলি খেতে আরম্ভ করে, অভিজ্ঞতা তো তাঁদের মোটেই ভালো হবে না। সেক্ষেত্রে জনবসতিতে তাঁদের ঢুকে পড়াও কমে যাবে ধীরে ধীরে।“