সোশ্যালে শুভেচ্ছার ঢেউ আছড়ে পড়েনি। তার আগেই মিমি চক্রবর্তীকে জন্মদিনের (Birthday) প্রথম শুভেচ্ছা NDTV-র তরফ থেকে। সাল ১৯৮৯-র ১১ ফেব্রুয়ারি। আজকের দিনে জলপাইগুড়িতে জন্ম সাংসদ-অভিনেত্রীর (Mimi Chakraborty)। আজকের দিন স্মরণীয় করতে তাঁর দ্বিতীয় মিউজিক 'পরি হুঁ ম্যায়' মুক্তি পাচ্ছে। সাংসদ হওয়ার একবছর পর মিমি আবার ফিরছেন বড় পর্দায়। দেবালয় ভট্টাচার্যের 'ড্রাকুলা স্যার'-এ অনির্বাণ ভট্টাচার্যের বিপরীতে তাঁকে দেখবেন দর্শক।
বাবার কোলে ছোট্ট মিমি। তাঁর ছোটবেলা কেটেছে অরুণাচল প্রদেশের দিওমালি শহরে। পরে চলে আসেন জলপাইগুড়িতে। এভাবেই বাবার কোলে কোলে তিনি ভর্তি হন হোলি চাইল্ড স্কুলে। তারপর বিন্নাগুড়ির সেন্ট. জেমস স্কুলে। স্কুল শেষ হতেই তিনি ভর্তি হল কলকাতার আশুতোষ কলেজে। ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে শেষ করে শিক্ষা।
অভিনয়ে আসার আগে মিমি বেশ কয়েকবছর মডেলিং করেন। ফেমিনা মিস ইন্ডিয়াও হয়েছিলেন। আজ সকালেও নিশ্চয়ই আপনজনেরা তাঁকে শুভেচ্ছা জানাবেন ফুল দিয়ে। তখবও নিশ্চয়ই এমন সুন্দর নিষ্পাপ হাসি ফুটে উঠবে তাঁর মুখে!
আজ নো ডায়েট। জন্মদিন মানেই কবজি ডুবিয়ে খাওয়া। মিমি কী খেতে ভালোবাসেন জানেন? সন্দেশ, মিষ্টি দই, পেস্ট্রি, কাপ কেক। সেই সমস্ত নিয়ে সক্কাল সক্কাল ব্রেকফাস্ট টেবিলে। তারপর মায়ের হাতের রান্না তো আছেই।
বাড়তি ওজন নিয়ে অবশ্য কোনোদিন চিন্তাই করেন না অভিনেত্রী। যোগ-ব্যায়াম, জিম তো আছেই। একটু বেশি শরীরচর্চা করে ঠিক মেদ ঝরিয়ে নেবেন।
মিমির প্রথম ছবি রাজ চক্রবর্তীর পরিচালনায় চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু প্রথম ছবি হিসেবে মুক্তি পেয়েছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের প্রযোজনয়া বাপি বাড়ি যা। এই ছবি মুক্তি পেয়েছিল ২০১২-র ৭ ডিসেম্বর। তাঁর বিপরীতে ছিলেন অর্জুন চক্রবর্তী। এর পরেই ছোটপর্দায় মিমি পা রাখেন আইডিয়াস ক্রিয়েশনের মেগা গানের ওপারে দিয়ে। ঋতুপর্ণ ঘোষের পরিচালনায় পুপে চরিত্রে অভিনয় করে মিমি প্রমাণ করেন তিনি থাকতে এসেছেন। ঋতু নিজের হাতে মেকআপ করে দিতেন তাঁর। ২০১০-এর ২৮ জুন থেকে ২০১১-র ১৬ এপ্রিল, একবছর ধরে চলেছিল জনপ্রিয় মেগাটি। যদিও নতুন পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্যের কথায়, পুপের থেকেও বেশি শান্ত তাঁর আগামী ছবির মঞ্জরি। সেই ছবিতেও মিমির সজ্জা অনেকটাই পুপের মতো। তাঁতের শাড়ি, ছোট্ট টিপ, লতি ঘেঁষা রিং, গলায় সরু চেন, দু-হাতে সোনার সরু চুড়ি।
২০১১ থেকে ২০১৯--- মাত্র ৯ বছরে দ্রুত শীর্ষ ছুঁয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। বহু সফল ছবির পাশাপাশি ২০১৯-এ শাসক দলের হয়ে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন হেভিওয়েট কেন্দ্র যাদবপুর কেন্দ্র থেকে। সংসদ এবং ছবির দুনিয়ায় তাঁর খুব ভালো বন্ধু আরেক সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান। একসময় পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রেম ছিল মিমির। সবাই ভেবেছিলেন তিনিই হবে রাজ-রানি। যদিও সময় বলেছে অন্য কথা। আর মিমি, পুপে থেকে মঞ্জরি হয়ে 'রাজরানি' রাজনীতির কুর্শিতে।