দিল্লিতে তল্লাশি চালিয়ে এই চক্র সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
হাইলাইটস
- একটি ‘সুসঙ্ঘবদ্ধ’ চক্র কাজ করছিল বলে আয়কর দপ্তর জানিয়েছে
- টাকার একটা অংশ একটি বড় রাজনৈতিক দলের দিল্লি অফিসে পাচার হয়েছে
- বাঘের চামড়া, ২৫২ বোতল মদ এবং কিছু অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে
নিউ দিল্লি: মধ্যপ্রদেশ জুড়ে তল্লাশি (Raid) চালিয়ে ২৮১ কোটির টাকা চোরাচলানের হদিশ পেল আয়কর দপ্তর (Income Tax Department)। এই বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেনের নেপথ্যে একটি ‘সুসঙ্ঘবদ্ধ' (Well Organized) চক্র কাজ করছিল বলে আয়কর দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে। আয়করের দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকার একটা অংশ একটি বড় রাজনৈতিক দলের (Major Political party) দিল্লির কার্যালয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে ২০ কোটি টাকা দিল্লির তুঘলক রোডের এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বাড়ি থেকে হাওলা চ্যানেলের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু নগদ নয় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা মূল্যের বাঘের চামড়া, ২৫২ বোতল মদ এবং কিছু অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে বলে আয়কর দপ্তরের বিবৃতিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে দিল্লিতে তল্লাশি চালিয়ে এই চক্র সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। দেশের এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন একজনের ভূমিকা খুবই বেশি। তাঁর কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তার ভিত্তিতে এটা বোঝা যায় বেশ কিছু ভুয়ো সংস্থা খুলে এবং বিল বানিয়ে টাকার পাচার হত।
বাংলাকে একটা পয়সাও পাঁচ বছরে দেয়নি নরেন্দ্র মোদী: মমতা
এই নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2019) মরশুমে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের প্রাক্তন ব্যক্তিগত সচিব প্রবীণ কাক্কার এবং প্রাক্তন পরামর্শদাতার বাড়িতে তল্লাশি চলে। ইন্দোর এবং দিল্লিতে দু'জনের বাড়িতে হানা দেয় আয়কর দপ্তর। ওই ঘটনার কিছু দিন আগে কর্নাটকে জেডিএস – কংগ্রেস সরকারের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত কয়েকজনের বাড়িতে তল্লাশি চালায় দপ্তর। দুটি ঘটনাতেই শাসককে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ ভোটের আগে কেন্দ্রীয় সরকার ভয় দেখাতে চাইছে। এরই মধ্যে রবিবার নির্বাচন কমিশন (Election Commission) আয়কর দপ্তরকে জানিয়েছে এ ধরনের অভিযান যেন নিরাপত্তা রেখে চালান হয়। আরও বলা হয় নির্বাচনী আচরণ বিধি যতদিন বলবৎ থাকবে ততদিন এ রকম অভিযান চালাবার আগে কমিশনকে জানাতে হবে।