This Article is From Jul 16, 2019

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরেই প্রকাশিত হল যশবন্ত সিনহার আত্মজীবনী

যশবন্ত সিনহা দেশের প্রথম এমন অর্থনীতিবিদ ছিলেন যিনি নতুন ধারায় কাজ করতে চেয়েছিলেন, সংস্কারমূলক অর্থনীতি প্রণয়ণ করতে চেয়েছিলেন, বলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরেই প্রকাশিত হল যশবন্ত সিনহার আত্মজীবনী

প্রকাশ হল যশবন্ত সিনহার আত্মজীবনী, প্রকাশ করলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়

নিউ দিল্লি:

সোমবার মুক্তি পেল যশবন্ত সিনহার (Yashwant Sinha) আত্মজীবনী (autobiography),  এই আত্মজীবনীর আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় (Pranab Mukherjee)। আত্মজীবনীতে যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha) লিখেছেন, অর্থনীতি হল ভারতের রাজনীতিবিদদের কাছে  “সর্বশেষ বিবেচ্য বিষয়”। এ বিষয়ে ওই নেতার সঙ্গে সহমত পোষণ করলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়ও। চন্দ্রশেখর সরকারের আমলে দেশের অর্থনীতির গুরুদায়িত্ব সামলানো (১৯৯০-১৯৯১) সিনহার লেখাকে অবলম্বন করেই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি দেশের প্রথম এমন অর্থনীতিবিদ ছিলেন যিনি নতুন ধারায় কাজ করতে চেয়েছিলেন, সংস্কারমূলক অর্থনীতি (economy) প্রণয়ণ করতে চেয়েছিলেন। ১৯৯০ সালে কংগ্রেসের সমর্থনে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে চন্দ্রশেখর সরকার এবং পরবর্তীতে কংগ্রেস চন্দ্র সরকারের থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ১৯৯১ সালের জুনেই ওই সরকার ভেঙে যায়।

বন্যার কবলে অসম, প্রভাবিত ৪৩ লক্ষ মানুষ, রইল ১০ টি তথ্য

“তিনি তাঁর আত্মজীবনীতে যে কথাটির উল্লেখ করেছেন তার সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ সহমত যে একজন রাজনীতিবিদের কাছে অর্থনীতি হল সর্বশেষ বিবেচ্য বিষয়”, যশবন্ত সিনহার আত্মজীবনীর একটি অংশ উল্লেখ করে বলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। চন্দ্রশেখর সরকারের সময়কালে দেশের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে শ্রী মুখোপাধ্যায় বলেন, যশবন্ত সিনহা দেশের অর্থনীতির প্রথম সংস্কারক হতে পারতেন, কিন্তু তাঁকে সেই বাজেটটি পেশ করতে বাধা দেওয়া হয় যেটি দেশের অর্থনীতির সামগ্রিক চিত্রকেই বদলে দিতে পারত।

সিনহা নিজে তাঁর বইয়ে উল্লেখ করেছেন যে সংস্কারমূলক ওই বাজেট তাঁকে পেশ করতে না দেওয়ায় তাঁর কেমন লেগেছিল, তবে পাশাপাশি তিনি এও বলেছেন যে "সরকারের সংরক্ষণ অর্থনীতির চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ"।

সারদাকাণ্ডে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়সহ পাঁচজনকে তলব করল ইডি

১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে ভারত তার সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, পরে নরসীমা সরকারের শাসনকালেও সেই পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করা হয়, সেইসময় অর্থমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিং। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালের জুলাই থেকে 2002 সালের জুলাই মাসে পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের অধীনে অর্থমন্ত্রী হিসাবেও কাজ করেন যশবন্ত সিনহা। যদিও সেইসময় দেশের আমলাতন্ত্র অভিযোগ করে যশবন্ত সিনহা “সহানুভূতির সঙ্গে” সবকিছু বিবেচনা করছেন ও বিরোধী রাজনীতিবিদদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাচ্ছেন, যে অভিযোগ এই আত্মজীবনীর উদ্বোধনের অনুষ্ঠান থেকে নস্যাৎ করে দেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ শৌরীও, তাঁরাও ওই আত্মজীবনীতে উল্লিখিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

এই অনুষ্ঠানে অন্যান্য রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন আমলারাও ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা, আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং,  জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের প্রাক্তন সভাপতি ওয়াজাহাত হাবিবুল্লাহও ।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.