নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকেই তৃণমূল ও অন্যান্য দল থেকে অনেকেই যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে
হাইলাইটস
- মুকুল রায়ের দাবি, অন্য দল থেকে মোট ১০৭ জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেবেন
- মুকুলের এই ঘোষণায় অস্বস্তি আরও বাড়তে পারে শাসক দলে
- এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টি আসনে জয়ী বিজেপি
কলকাতা: গত মে মাসে লোকসভা (National Election 2019) নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির (BJP) উত্থান ও তৃণমূলের (TMC) আসনসংখ্যা কমার পরে একযোগে তৃণমূল সহ অন্য দল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বিধায়ক ও কাউন্সিলররা। তখনই বিজেপি নেতা মুকুল রায় (Mukul Roy) এবং নির্বাচনের সময়ে বিজেপির পক্ষে এরাজ্যের দায়িত্বে থাকা বর্ষীয়ান নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Mukul Roy) জানিয়ে দিয়েছিলেন, এটা সবে সূচনা। আর এবার মুকুল রায় দাবি করলেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিপি(আই)এম, কংগ্রেস এবং শাসক দল তৃণমূলের মোট ১০৭ জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেবেন। প্রসঙ্গত, মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায় তৃণমূল ছাড়ার পরে বিজেপিতে আসেন। তাঁর দেখানো পথে একে একে অনেকেই যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। এর ফলে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে। মুকুলের এই ঘোষণায় সেই অস্বস্তি আরও বাড়তে পারে।
তৃণমূল থেকে থেকে বেরিয়ে আসার পরে মুকুল রায়ের উদ্যোগে বিজেপি এরাজ্যে ধীরে ধীরে আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। যেখানে ২০১৪ সালে তারা মাত্র ২টিতে জয়লাভ করেছিল। অন্যদিকে তৃণমূল ৩৪ থেকে নেমে এসেছে ২২-এ। অর্থাৎ শাসক দলের থেকে মাত্র চারটি কম আসন পেয়েছে বিজেপি। আর এরপর থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা। তাহলে কি পরের বিধানসভায় বড় চমক দেবে বিজেপি?
“জয় শ্রীরাম” বলতে কাউকে জোর করা উচিত নয়: NDTV কে বললেন মুক্তার আব্বাস নাকভি
ফলাফল প্রকাশের পরেই শুরু হয় দল বদলের পালা। ২৮ মে দল বদল করেন বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়, বিষ্ণুপুরের তৃণমূল বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য এবং হেমতাবাদের সিপি(আই)এম বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়। এরপরই দলের রাজ্য শাখার কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানিয়ে দেন, এটা সবে শুরু। এরপর আরও অনেকে যোগ দেবেন বিজেপিতে। পশ্চিমবঙ্গের যেভাবে সাত দফা লোকসভার ভোট হয়েছিল, সেভাবেই দফায় দফায় যোগদান কর্মসূচি হবে। তৃণমূল এবং অন্যান্য দল ছেড়ে আরও নেতা-নেত্রীরা বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে তিনি জানিয়েছিলেন।
অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিশ খারিজের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ সব্যসাচী দত্ত
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে একটি সাক্ষাৎকারে কৈলাস বলেছিলেন, এই নির্বাচনের ফলাফল থেকে তাঁরা বুঝতে পারছেন আগামী দিন পশ্চিমবঙ্গে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি।
গত এপ্রিলে কলকাতার কাছেই এক মিছিলে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘দিদি, ২৩ মে ফলপ্রকাশের পরে সর্বত্র পদ্ম ফুটবে। এবং আপনার বিধায়করা আপনাকে ছেড়ে পালাবে। এমনকী, এই মুহূর্তে আপনার ৪০ জন বিধায়ক আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন দিদি।'' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর উত্তরে বলেছিলেন, ‘‘অন্তত একজনকে দেখান।'' মোদি সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করছেন বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। তাঁর দল দরাদরির অভিযোগ আনে মোদির বিরুদ্ধে।