Read in English
This Article is From Jun 12, 2018

মুম্বাইয়ের 20 বছর বয়সী যুবকের নেশা ছিল পুলিশের বাড়ি থেকে চুরি করা! তারপর

জিটিবি নগরের 20 বছরের বাসিন্দা কমলজিৎ সিং। অদ্ভুত তার শখ! অবশ্য, ‘শখ’ না বলে ‘নেশা’ও বলা যায়। পুলিশের বাড়ি থেকে জিনিসপত্র চুরি করতে সে ভালোবাসত।

Advertisement
অফবিট Translated By

আরও 15 জন পুলিশকর্মীর বাড়িতে চুরি করার ছক কষছিল সে।

মুম্বাই: জিটিবি নগরের 20 বছরের বাসিন্দা কমলজিৎ সিং। অদ্ভুত তার শখ! অবশ্য, ‘শখ’ না বলে ‘নেশা’ও বলা যায়। পুলিশের বাড়ি থেকে জিনিসপত্র চুরি করতে সে ভালোবাসত। যার শাস্তি হিসাবে আপাতত তার ঠাঁই হয়েছে শ্রীঘরে। সম্প্রতি, গত সপ্তাহে কালাচৌকির পুলিশ কোয়ার্টারে চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় সে। তিনজন কনস্টেবল দৌড়ে গিয়ে পাকড়াও করে ফেলে তাকে।
ঘটনাটির বিবরণ দিতে গিয়ে কালাচৌকি থানার সিনিয়র ইনস্পেক্টর দিলীপ উগলে বলেন, “কমলজিৎ গত বুধবারের ভোরের দিকে দুজন কনস্টেবলের বাড়িতে তালা ভেঙে ঢোকে। প্রথমে যায় বিজয় বানের বাড়ি। সেখান থেকে 60 গ্রাম সোনা ও নগদ 2800 টাকা চুরি করে সে। ওখান থেকে চুরি করে তারপর হানা দেয় ওই কোয়ার্টারের নিচের তলায় বাস করা কনস্টেবল রাগিনী জাগদালের বাড়ি। ওখান থেকে কিছু না পাওয়ায়, ‘যেন কিছুই হয়নি’- এমন একটি ভাব করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে হাঁটতে আরম্ভ করে”।
কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। তাকে জাগদালের বাড়ির তালা ভাঙতে দেখে ফেলেছিল জাগদালের প্রতিবেশি। সেই খবর দেয় কনস্টেবল যশবন্ত রসমকে। উনি চার তলায় থাকেন। তিনি সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছিলেন। যে সময় যশবন্ত রসম নামছিলেন নিচে, ঠিক একইসময়ে তাঁর ভাই বিজয় কিছু একটা সন্দেহ করে নিজের তিন তলার ঘর থেকে নিচে নেমে আসেন।
যশবন্ত বলেন, “বিজয় আমাকে বলল ও একজন নীল জামা পরা লোককে দেখতে পেয়েছিল। আমি বিজয় তখন লোকটির খোঁজে বেরোলাম। ওই সময়েই সন্তোষ আদিভারেকর নামের আরেক কনস্টেবল ঘুম থেকে উঠে এসে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। আমরা তিনজনেই বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে লোকটিকে দৌড়ে ধাওয়া করি”। কটন গ্রিন রেলওয়ে স্টেশনের স্কাইওয়াক থেকে ধরা পড়ে কমলজিৎ সিং। পাকড়াও করেই তাকে নিয়ে আসা হয় কালাচৌকি থানায়। গত 9 জুন ওয়াডালা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় কমলজিৎ সিং’কে।  
Advertisement