தமிழில் படிக்க हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Oct 30, 2019

২০৫০ সালের মধ্যে সমুদ্রের তলায় চলে যাবে ভারতের এই মহানগরী! জানাল গবেষণা

এই গবেষণা জানাচ্ছে, একসময় মূলত বহু দ্বীপপুঞ্জের উপরেই নির্মিত হয়েছিল এই মায়ানগরী। শহরের ঐতিহাসিক মূলকেন্দ্রটি বেশ দুর্বল।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

ভারতের বাণিজ্য নগরী মুম্বই ‘নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি'র মুখোমুখি বলে জানানো হয়েছে ওই গবেষণায়

নিউ ইয়র্ক :

সমুদ্রের পেটে চলে যাবে মায়ানগরী (Mumbai)! সমুদ্রের তীরে অবস্থিত ভারতের শহরের ভাগ্যে এমনই ফাঁড়ার কথা জানা গিয়েছে একটি নতুন গবেষণায়। সমুদ্র জলস্তর বেড়ে যাওয়ার জন্য ২০৫০ সালের মধ্যে পূর্ববর্তী অনুমানের চেয়েও তিনগুণ বেশি মানুষ জলে তলায় তলিয়ে যাবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভারতের বাণিজ্য নগরী (India's financial capital) মুম্বই ‘নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি'র (wiped out)মুখোমুখি বলে জানানো হয়েছে ওই গবেষণায়। নিউ জার্সিতে অবস্থিত বিজ্ঞান সংস্থা ক্লাইমেট সেন্ট্রাল (Climate Central) এই গবেষণা পত্রটি তৈরি করেছে এবং ‘নেচার কমিউনিকেশনস' (Nature Communications) জার্নালে তা প্রকাশিতও হয়েছে। তবে, এই গবেষণায় ভবিষ্যতের জনসংখ্যা বৃদ্ধি (future population growth) বা উপকূলীয় ক্ষয়ের (coastal erosion) ফলে জমির হ্রাসমানতার অনুমানগুলি বিবেচনা করা হয়নি।

আরও পড়ুনঃ মৃত ভিখারির ঘর থেকে মিলল ১.৫ লক্ষ টাকার কয়েন, জমানো ৮ লক্ষ টাকা

দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, গবেষকরা “উপগ্রহ মারফত পাঠানো প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে স্থলভাগের উচ্চতা গণনা করার আরও সঠিক পদ্ধতি তৈরি করেছেন। বৃহত্তর অঞ্চলের উপর সমুদ্র-স্তর বৃদ্ধির প্রভাবগুলি অনুমান করার জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড পদ্ধতি এবং দেখা গিয়েছে যে এভাবে বেশ সঠিকভাবেই বিভিন্ন এলাকার ভবিষ্যৎ নির্ণয় করা সহজ হয়ে যাচ্ছে।”

Advertisement

আরও পড়ুনঃ Viral: ‘বহুরূপে সম্মুখে'! বাড়ির পুজোয় কষিয়ে ভোগ রাঁধছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

নতুন এই গবেষণা অনুসারে, প্রায় দেড় কোটি মানুষ এখন এমন একটি জমির উপর বসবাস করছেন যা এই শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়েই উচ্চ-জোয়ারের সীমার নিচে থাকবে।

Advertisement

নতুন এই অনুমান অনুসারে ভারতের অর্থনৈতিক রাজধানী বাণিজ্যনগরী মুম্বাইয়ের বেশিরভাগ অংশই নিশ্চিহ্ন হওয়ার ঝুঁকির মুখে। এই গবেষণা জানাচ্ছে, একসময় মূলত বহু দ্বীপপুঞ্জের উপরেই নির্মিত হয়েছিল এই মায়ানগরী। শহরের ঐতিহাসিক মূলকেন্দ্রটি বেশ দুর্বল।

অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থার তরফে ডিনা লোনস্কো বলেন, “সামগ্রিক গবেষণার ফলে আমরা যা দেখছি, দেশের এক্ষুণি আরও বেশি পরিমাণে নাগরিকদের অভ্যন্তরীণভাবে স্থানান্তরিত করার জন্য প্রস্তুতি শুরু করা উচিৎ।”

Advertisement

অভিবাসনের আন্তর্জাতিক এই সংস্থা হ'ল একটি আন্তঃ-সরকারি গোষ্ঠী যা মাইগ্রেশন বা অভিবাসন এবং উন্নয়ন বিষয়ক ক্রিয়াকলাপকে সমন্বিত করে। “আমরা কেবল মানুষ ও সরকারকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি। আমরা জানিই যে এমনটা হবেই হবে। এই বিপুল জনসংখ্যার অভিবাসনের বিষয়টিকে আধুনিকভাবে সমাধান করতে হবে, বলেন লোনস্কো।

Advertisement