ফের প্রকাশ্যে এল বর্বরতা! স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ উঠল। স্ত্রীর দাবি নিগ্রহের জেরেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর গর্ভে থাকা সন্তানের। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছেন আইনজীবী স্বামী। মুম্বইয়ের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে সবাইকে। একজন শিক্ষিত মানুষ কীভাবে এমনটা করেন তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ জানতে পেরেছে কুসংস্কারের বশেই এমন আচরণ করেছেন স্বামী। স্ত্রী জানিয়েছেন গর্ভে সন্তান আসার পর থেকেই শুরু হয় অত্যাচার। ক্রমশ তা বাড়তে থাকে। কয়েকদিন আগে নতুন করে অত্যাচার শুরু করেন স্বামী। তাতেই পি[প্রাণ হারায় গর্ভে থাকা 11 সপ্তাহের ভ্রূণ। আর দেরি না করে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন আইনজীবী স্ত্রী। অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয় দক্ষিণ মুম্বইয়ের কোলাবার পুলিশ। তদন্ত শুরু করে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় স্বামীকে।
দুজনেই পাশে আইনজীবী। সেই সূত্র ধরেই আলাপ। শেষমেশ বিয়ে। কিন্ত প্রথম থেকেই শুরু হয় অশান্তি। মাঝে মধ্যেই তা বড় আকার নিত। কিন্ত সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় স্ত্রী মুখ বুঝে সহ্য করতে থাকেন যাবতীয় অত্যাচার। তবে এক সময় আর না পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। মুম্বই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , বেশ কয়েকটি ধারায় অভিযুক্ত হয়েছেন স্বামী। এর মধ্যে গর্ভে থাকা সন্তানকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া থেকে শুরু করে আরও বেশ কয়েকটি ধারা যুক্ত হয়েছে। গ্রেফতারের পর মঙ্গলবারই ধৃতকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁকে দুদিন পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে কুসংস্কারের জন্যই এমনটা হয়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মুম্বইয়ের মতোই দেশের আরেকটি বড় শহর দিল্লিতেও স্রেফ কুসংস্ক্স্রের জন্যই একই পরিবারের 11 জনের মৃত্যু হয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। মোক্ষলাভের অসহায় বাড়ির সদস্যরা নিজেরাই নিজেদের শেষ করে দিয়েছেন বলে অনুমান তদন্তকারীদের।