This Article is From Feb 14, 2020

স্ত্রীর বসার জন্য ভিড় ট্রেনে সামান্য সরে বসার অনুরোধ! ট্রেনেই রেলযাত্রীকে পিটিয়ে খুন জনতার!

জেনারেল কামরায় একটাও আসন ফাঁকা ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই বসার জায়গা পাননি মর্কণ্ড পরিবার। পরে মর্কণ্ড ওই কামরায় কয়েকজন মহিলাকে একটু সরে সরে বসতে অনুরোধ করেন। যাতে তাদের কন্যাকে কোলে নিয়ে স্ত্রী একটু বসতে পারেন। স্পষ্টতই এই অনুরোধ শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে মহিলারা তাকে গালিগালাজ করা শুরু করেন।

স্ত্রীর বসার জন্য ভিড় ট্রেনে সামান্য সরে বসার অনুরোধ! ট্রেনেই রেলযাত্রীকে পিটিয়ে খুন জনতার!

মর্কণ্ড পরিবার তাদের এক আত্মীয়ের শেষকৃত্যে অংশ নিতে সোলাপুর জেলার কুরদুভাদীতে যাচ্ছিলেন।

হাইলাইটস

  • ছয়জন মহিলাসহ অন্তত ১২ জনকে পিটিয়ে হত্যা করে ওই যুবককে
  • মর্কণ্ড এবং তাঁর স্ত্রী জ্যোতি তাদের দুই বছরের কন্যা সহ ট্রেনে উঠেছিলেন
  • মর্কণ্ড ওই কামরায় কয়েকজন মহিলাকে একটু সরে সরে বসতে অনুরোধ করেন

ভিড় কামরায় ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই রব। তারই মাঝে একটু সরে বসার অনুরোধ মাত্র। আর এমন অনুরোধ করাতেই পিটিয়ে মেরে ফেলা হল রেলযাত্রীকে! বৃহস্পতিবার মুম্বই-লাতুর-বিদার এক্সপ্রেসে (Mumbai-Latur-Bidar Express) একটি বসার জায়গাকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে ওঠে ঝামেলা। বিশাল কথা কাটাকাটির পরেই হাতাহাতি থেকে বেলাগাম মারধর। যার বলি ২৬ বছর বয়সী এক যুবক। ছয়জন মহিলাসহ অন্তত ১২ জন পিটিয়ে হত্যা করে ওই যুবককে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে। কল্যাণের বাসিন্দা সাগর মর্কণ্ড এবং তাঁর স্ত্রী জ্যোতি তাদের দুই বছরের কন্যা সহ বুধবার গভীর রাতে কল্যাণ স্টেশন থেকেই ট্রেনে উঠেছিলেন।

জেনারেল কামরায় একটাও আসন ফাঁকা ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই বসার জায়গা পাননি মর্কণ্ড পরিবার। রেলওয়ে পুলিশ সুপার দীপক সাতোর জানিয়েছেন, পরে মর্কণ্ড ওই কামরায় কয়েকজন মহিলাকে একটু সরে সরে বসতে অনুরোধ করেন। যাতে তাদের কন্যাকে কোলে নিয়ে স্ত্রী একটু বসতে পারেন।

স্পষ্টতই এই অনুরোধ শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে মহিলারা তাকে গালিগালাজ করা শুরু করেন। গালাগালি থেকে অল্প সময়ের মধ্যেই শুরু হয় হাতাহাতি। কথা কাটাকাটি চরমে উঠলে কমপক্ষে ১২ জন মানুষ তাকে ঘিরে ধরে মারধর করতে শুরু করেন। মর্কণ্ডকে লাথি এবং ঘুষি মারতে থাকে উন্মত্ত জনগণ।

পরিস্থিতি সামলাতে তার স্ত্রী জ্যোতি বারংবার অনুরোধ করতে থাকেন। তা সত্ত্বেও চলতে থাকে মারধর। ট্রেন পুনে থেকে আগামী স্টেশন দৌন্ডে গিয়ে পৌঁছানো পর্যন্ত প্রায় এক ঘন্টা ধরে তাকে মারধর করে জনতা।

দৌন্ড স্টেশনে সরকারী রেলওয়ে পুলিশ মর্কণ্ডকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। গুরুতর আঘাতের কারণে পরে ওই হাসপাতালেই তিনি মারা যান।

মর্কণ্ড পরিবার তাদের এক আত্মীয়ের শেষকৃত্যে অংশ নিতে সোলাপুর জেলার কুরদুভাদীতে যাচ্ছিলেন।

দীপক সাতোর বলেন, “আমরা কমপক্ষে ছয় জন মহিলা এবং তিন-চার জন পুরুষকে আটক করেছি এবং তাদের গ্রেফতার করার আগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”

.