தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Dec 21, 2018

‘ফেসবুকে প্রেম করবেন না’, পাক জেলে ৬ বছর কাটিয়ে উপদেশ দিলেন ভারতীয় যুবক

ফেসবুকে প্রেমে পড়া মানুষদের উদ্দেশ্যে তাঁর সতর্কবার্তা হল, “ঝুঁকি নেবেন না। দুমদাম প্রেমে পড়বেন না। ফেসবুকে বিশ্বাস করে প্রেমে তো একেবারেই পড়বেন না।"

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

পাকিস্তান তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনে। মঙ্গলবার তাঁকে ফেরত পাঠানো হয় এবং ওয়াঘা-আট্টারি সীমান্তে তাঁকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়

মুম্বাই:

আর যাই করুন, প্রেম করবেন না। প্রেম করলেও ফেসবুকে প্রেম তো একেবারেই করবেন না। পাকিস্তানের কারাগারে প্রায় ছয় বছর অতিবাহিত করার পর, সফটওয়্যার প্রকৌশলী হামিদ নিহাল আনসারি এই দেশের যুবক যুবতীদের উদ্দেশ্যে এমনই উপদেশ দিচ্ছেন। ফেসবুকে প্রেমে পড়ে জীবনের ৬ টি মূল্যবান বছর তাঁকে কাটাতে হয়েছে পাকিস্তানের কারাগারে।

আনসারি জানিয়েছেন, ফেসবুকে তিনি পাকিস্তানের এক মেয়ের প্রেমে পড়েছিলেন। ওই মেয়েটি তাঁকে জানায় জোর করে তাঁর বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। "বলপূর্বক" ওই বিয়ে বন্ধ করার জন্য এবং প্রেমিকাকে বাঁচাতে আনসারি সেখানে দৌড়ে যান। মেয়েটির সঙ্গে তাঁর দেখা হওয়ার আগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় এবং কারাগারে বন্দি রাখা হয়।

এই ঘটনার পর পেরিয়ে গিয়েছে ছয় বছর।

Advertisement

ভয় থেকে জয়, এক অসম্ভবকেই সম্ভব করল রোহিঙ্গা যুবতী ফরমিন

আজ তিনি মুম্বাইয়ের উপকণ্ঠে তাঁর নিজের বাড়িতে পৌঁছে স্বস্তিতে রয়েছেন।

Advertisement

আনসারি বলেন, "নিজের বাবা-মায়ের কাছ থেকে কিছু লুকিয়ে রাখো না। শুধু নিজের বাবা-মা'ই জীবনের কঠিন সময়ে তোমার পাশে দাঁড়াবে। এবং ভবিষ্যতে যেখানেই যাও না কেন, অবৈধ উপায়ে কক্ষনো যেও না!”

ফেসবুকে প্রেমে পড়া মানুষদের উদ্দেশ্যে তাঁর সতর্কবার্তা হল, “ঝুঁকি নেবেন না। দুমদাম প্রেমে পড়বেন না। ফেসবুকে বিশ্বাস করে প্রেমে তো একেবারেই পড়বেন না।"

Advertisement

আজ সকালেই দিল্লি থেকে আনসারি ও তাঁর পরিবার ভারসোভাতে তাঁদের নিজেদের বাড়িতে পৌঁছেছেন। তাঁদের স্বাগত জানাতে বাড়ির প্রবেশদ্বার সাজিয়ে রেখেছিলেন তাঁদের প্রতিবেশীরা। ‘স্বাগতম হামিদ' লেখা নীল ফিতে কেটে বাড়িতে প্রবেশ করেন তিনি।

বিতর্কিত সোহরাবুদ্দিন এনকাউন্টার মামলার রায় আজ দেবে মুম্বাইয়ের আদালতঃ ১০'টি তথ্য

Advertisement

আনসারি জানান, তাঁর মুক্তির খবর আচমকাই তাঁর কাছে এসে পৌঁছায়। তিনি বলেন, “মঙ্গলবার ভোর ৬.৩০ টা নাগাদ জেলের উপপরিদর্শক আমার কাছে এসে বললেন, আপনি তৈরি হন। আপনার মুক্তি হল আজ। প্রস্তুত হওয়ার জন্য আধ ঘণ্টা সময় আছে। আমি খুব উত্তেজিত ছিলাম এবং এক মুহূর্তও নষ্ট না করে তড়িঘড়ি জামা জুতো পরে নিলাম এবং গাড়িতে চেপে রওনা দিলাম।”

২০১২ সালে ফেসবুকের ওই প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে প্রবেশের দায়ে গ্রেফতার হন আনসারি। পাকিস্তান তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনে। মঙ্গলবার তাঁকে ফেরত পাঠানো হয় এবং ওয়াঘা-আট্টারি সীমান্তে তাঁকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

Advertisement