Read in English
This Article is From Apr 07, 2020

করোনাকে কীভাবে হারালেন, সকলের সঙ্গে শেয়ার করলেন মুম্বইয়ের পড়ুয়া

হৃষি জানাচ্ছেন, ‘‘বিশ্বাস করুন বা না করুন, হাসপাতালের পরিবেশ ছিল আনন্দময়। এবং তার প্রভাব ওয়ার্ডের সকলের উপরেই পড়েছিল।’’

Advertisement
অফবিট Written by , Edited by

লন্ডন থেকে ফেরার পর করোনায় আক্রান্ত হন হৃষি।

Highlights

  • ‘লন্ডন স্কুল অফ ইকনোমিকস’-এর পড়ুয়া ঋষি গিরিধর মুম্বইয়ের বাসিন্দা
  • দেশে ফেরার পর তিনি করোনা আক্রান্ত হন
  • তবে এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন তি‌নি

করোনায় (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছিলেন মুম্বইয়ের (Mumbai) হৃষি গিরিধর ‘লন্ডন স্কুল অফ ইকনোমিকস'-এর পড়ুয়া। নিজের অভিজ্ঞতার কথা তিনি জানিয়েছেন ‘হিউম্যানস অফ বম্বে'-কে। কেমন করে কলেজে করোনা আতঙ্ক ছড়িয়েছি‌ল সেকথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এটা বেশ ভয়ের ব্যাপার ছিল কেননা এলএসই-তে (লন্ডন স্কুল অফ ইকনোমিকস) ৪৫টি বিভি‌ন্ন দেশের পড়ুয়ারা পড়ত। সকলেই শীতকালীন ছুটির পর কলেজে জয়েন করেছিল। তখনই শোনা গেল আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। আর তারপর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়ে গেল।'' ঋষি বাড়ি ফিরে আসেন। এবং নিয়ম মেনে তিনি নিজেকে কোয়ারান্টাইনে রাখেন। কিন্তু দ্বিতীয় দিন থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসম্ভব ক্লান্ত ‌লাগছিল। আর সেই জ্বর ও শরীর জুড়ে ব্যথা।

বহু রাজ্যই বাড়াতে চাইছে লকডাউন; ১৪ এপ্রিলেই লকডাউন শেষ না হওয়ার জল্পনা: সরকারি সূত্র

প্রথম প্রথম ভেবেছিলেন ক্লান্তি ও অবসাদের কারণে হচ্ছে। কিন্তু পঞ্চম দিন মূর্ছিত হয়ে পড়ার পর বাবা-মা'কে সবটা জানান ঋষি।

Advertisement

তাঁকে কস্তুরবা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দেখা যায় তিনি করোনা পজিটিভ। হৃষি জানাচ্ছেন, খবরটা পেতেই তাঁর বুক খালি হয়ে গিয়েছিল।

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কিছু দেশে হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন রফতানি করার সিদ্ধান্ত ভারতের

Advertisement

কেমন ছিল পরের দিনগুলো? হৃষি জানাচ্ছেন, হাসপাতালের দিনগুলোর কথা। এক নার্স তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল দেখে রসিকতা করে বলেন, হৃষির উচিত সকলকে গিটার বাজিয়ে শোনানো।

হৃষি জানাচ্ছেন, ‘‘বিশ্বাস করুন বা না করুন, হাসপাতালের পরিবেশ ছিল আনন্দময়। এবং তার প্রভাব ওয়ার্ডের সকলের উপরেই পড়েছিল। আমি ভাল অনুভব করতে শুরু করি। এবং পঞ্চম দিনের পর আমার সমস্ত লক্ষণগুলো মিলিয়ে গেল। কিন্তু আমি ওষুধ, ভিটামিন নিতে থাকি। সেই সঙ্গে বিশ্রাম।''

Advertisement

হৃষি এখন করোনা ভাইরাসকে হারিয়ে দিয়েছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়ার আগে আরও একবার পরীক্ষা করা হবে তাঁকে। ঋষি জানাচ্ছেন, ‘‘আমার বন্ধুবান্ধব ও পরিবার ছাড়া এটা সম্ভব ছিল না। কিন্তু তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসকরা ও নার্সরা আমাকে সব দিয়েছে। ওষুধ থেকে খাবার থেকে বিশ্রাম ও সঙ্গ। বলতে গেলে সব কিছু।''
এখান‌ে সবটা পড়ে দেখতে পারেন:

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে শেয়ার হওয়ার পর থেকেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। বহু কমেন্ট জমা পড়ে। অনেকেই শেয়ার করেন পোস্টটি। 

Advertisement