தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Jun 30, 2020

২৬/১১ হামলার মতো ছক, উড়িয়ে দেওয়া হবে ২টি তাজ হোটেল, হুমকি ফোনে আতঙ্ক

Taj Hotel: মুম্বই পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই ফোন কল পাকিস্তানের কোনও এক প্রান্ত থেকেই এসেছে, হোটেল দুটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Mumbai: মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, দুটি হোটেলেরই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে

Highlights

  • ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর, পাকিস্তান থেকে ১০ জন জঙ্গি এদেশে ঢুকে হামলা চালায়
  • সেই হামলার আদলেই আবারও দুটি তাজ হোটেলে চালানো হবে সন্ত্রাস হামলা
  • ফোনে দেওয়া হল হুমকি, তদন্ত করছে পুলিশ
মুম্বই:

দেশের বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে (Mumbai) ফের বড়সড় জঙ্গি হানার ছক কষা হচ্ছে? সোমবার রাতে যে ধরণের হুমকি ফোন কল এসেছে দক্ষিণ মুম্বাইয়ের দুটি তাজ হোটেলের (Taj Hotel) ল্যান্ডলাইনে, তাতে এই আশঙ্কাই ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সোমবার গভীর রাতে ওই হুমকি ফোন আসে যাতে বলা হয় ঠিক ২৬/১১ হামলার মতো আরেকটি জঙ্গিহানা চালানো হবে। মুম্বই পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই ফোন কল পাকিস্তানের কোনও এক প্রান্ত থেকেই এসেছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে দুই হোটেলেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। সোমবার রাতেই কোলাবার তাজমহল প্রাসাদ এবং বান্দ্রার তাজ ল্যান্ডস এন্ড নামে দুই হোটেলের ল্যান্ডলাইনে ওই ফোন আসে বলে খবর।

জম্মু-কাশ্মীরে খতম ২ জঙ্গি, তবে পলাতক আরও ১, যার বিরুদ্ধে শিশু হত্যার অভিযোগ

দুই হোটেলেরই সুরক্ষা ব্যবস্থা কড়া করার পাশাপাশি ঠিক কোথা থেকে ওই হুমকি ফোন করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এটি নিছকই উড়ো ফোন নাকি, সত্যিই কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এই হামলার হুমকি দিয়েছে তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

লাদাখ সমস্যার সমাধান খুঁজতে ভারত ও চিনের মধ্যে ফের সামরিক পর্যায়ে বৈঠক

২০০৮ সালে অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে সেই সময় লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গিরা তাজমহল প্যালেস হোটেল, ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস রেলওয়ে স্টেশন এবং লিওপোল্ড ক্যাফেতে সন্ত্রাস হামলা চালায়। মুম্বইয়ের এই সন্ত্রাসবাদী হামলা দেশের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে ভয়াবহ হামলাগুলির মধ্যে অন্যতম। এই হামলায় ১৬৬ জনের মৃত্যু হয় এবং আহত হন ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ। পাকিস্তান থেকে জলপথে মুম্বইয়ে হামলা চালাতে এসেছিল আজমল কাসভ-সহ ১০ জন সন্ত্রাসবাদী।

Advertisement

২০০৮ সালের নভেম্বরের ওই ভয়ঙ্কর হামলায় যাঁরা মুম্বইকে নিজের প্রাণের বিনিময়ে রক্ষা করেছিলেন তাদের মধ্যে ছিলেন ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের কমান্ডো মেজর সন্দীপ উন্নিকৃষ্ণন, ছিলেন আরও কয়েকজন পুলিশ কর্মীও।

এমনিতেই ভারত-পাক সীমানা দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশ নিয়ে বরাবরই চিন্তায় থাকে এদেশ। তার মধ্যে আবার বর্তমানে লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন উত্তেজনা তুঙ্গে। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে, নিরাপত্তার স্বার্থে সেখানে এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম বসাতে হয়েছে। এরই মধ্যে কাশ্মীর সীমান্তে ক্রমশই যেন তৎপরতা বাড়াচ্ছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর মদতেই এই কার্যকলাপ বেড়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

 

Advertisement