নয়াদিল্লি: দিল্লিতে ভারত বাঁচাও সমাবেশ থেকে আজ, শনিবার বিজেপির বিরুদ্ধে জনগণ এবং মানুষের অনুভূতির তোয়াক্কা না করার অভিযোগ তুললেন কংগ্রেসের প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢ়রা। দিল্লির রামলীলা ময়দানে ভারত বাঁচাও সমাবেশে কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে প্রিয়াঙ্কা বলেন, “আমি আপনাদের সবাইকে এই সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই। যদি আমরা তা না করি তবে সেই সময় খুব বেশি দূরে নয় যখন এই সরকার বাবসাহেবের সংবিধানকে ধ্বংস করে দেবে।” “আজ, বিজেপি সরকারের ছয় বছরের সরকারের পরেও কর্মসংস্থানের পরিবর্তে চাকরি হারাতে হচ্ছে। জিএসটির কারণে ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখোমুখি হচ্ছেন, কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন.... ব্যবসা বন্ধ হচ্ছে,” বলেন প্রিয়াঙ্কা।
মমতার পরে কেজরিওয়াল! মুখ্যমন্ত্রিত্ব বাঁচাতে প্রশান্ত কিশোরের শরণে আম আদমি পার্টিও
তারপরেই বিজেপির ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়' স্লোগানটির প্যারোডি করে প্রিয়াঙ্কা বলেন, “বিজেপি হ্যায়, তো কোটি কোটি চাকরি চলে যাওয়া মুমকিন হ্যায়... বিজেপি হ্যায়, তো লক্ষ লক্ষ কৃষকের দুর্ভোগ মুমকিন হ্যায়। বিজেপি হ্যায় তো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বিক্রয় মুমকিন হ্যায়।”
“আমরা সব জায়গায় ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়' দেখতে পাচ্ছি। সত্যিটা হ'ল, বিজেপির আমলে পেঁয়াজের দাম বাড়া ‘মুমকিন হ্যায়'; বিজেপির আমলে গত ৪৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেকারত্বের হার ‘মুমকিন হ্যায়'; বিজেপির আমলে ৪ কোটি চাকরি ধ্বংস, ‘মুমকিন হ্যায়'!”
"উত্তর কোরিয়ায় চলে যান": নাগরিক আইনের বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে তথাগত রায়!
বিপুল এই সমাবেশে সোনিয়া গান্ধি, মনমোহন সিং এবং রাহুল গান্ধি সহ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা অংশ নিচ্ছেন। অর্থনীতির দুরবস্থা, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, কৃষকদের সমস্যা ও চাকরি সহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধী দল সরকারকে আক্রমণ শানাচ্ছে সমাবেশের মঞ্চ থেকে।
শুক্রবারই সমাবেশের কথার ঘোষণা করে রাহুল গান্ধি বলেছিলেন যে দল ‘বিজেপি সরকারের একনায়কতন্ত্র' এবং ‘আইসিইউতে পাঠানো' অর্থনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে। রাহুল হিন্দিতে টুইট করেন, “আজ আমি বিজেপি সরকারের একনায়কত্ব, আইসিইউতে পাঠানো অর্থনীতির প্রতিবাদ জানিয়ে দিল্লির ঐতিহাসিক রামলীলা ময়দানে কংগ্রেস আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেব।”
দলীয় শক্তি প্রদর্শনের জন্য দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা থেকে কংগ্রেসের রাজ্য শাখাগুলিকে কর্মীদের এই জনসভায় পাঠাতেও বলা হয়েছিল। রাজধানীর রামলীলা ময়দানে কমপক্ষে এক লক্ষ মানুষের সমাবেশ হবে বলেই আশাও ছিল তাদের।
দিল্লি কংগ্রেসের সভাপতি সুভাষ চোপড়ার দাবি প্রায় ৫০,০০০ মানুষ এই প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছেন। রামলীলা ময়দান ও দিল্লি জুড়ে সোনিয়া গান্ধি এবং রাহুল গান্ধির বড় বড় হোর্ডিং লাগানো হয়েছে। সুভাষ চোপড়া বলেন, এই জনসভার প্রচারের জন্য কংগ্রেস আক্রমণাত্মক প্রচার শুরু করেছে এবং সমাবেশের স্থলের ১০ কিলোমিটার জুড়ে তেরঙ্গা পতাকা এবং ব্যানার দিয়ে সাজানো হয়েছে।