পুলিশ আধিকারিকরা নিজেরা বাড়িতে রান্না করা মাংস খাওয়ান ও যত্ন করেন সুলতানকে
হাইলাইটস
- সাগরে আত্মীয়দের খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় এক পরিবারকে
- পুলিশ দেখে ওই পরিবারের পোষা কুকুরটি খাবার ও জল দেওয়ারও কেউ নেই বাড়িতে
- ওই খুনি পরিবারের পোষ্যের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা
বিনা, মধ্যপ্রদেশ: খুনি পরিবারের পোষ্যের মায়ায় জড়িয়ে গেছে পুলিশ (Police)। এমনই ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের বিনা এলাকায় (Madhya Pradesh's Bina town)অবস্থিত ছোটি বাজারিয়া থানাতে (Choti Bajaria police station)। সেখানে এখন বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে খুনি পরিবারের পোষা কুকুর (Pet Dog) সুলতান। জানা গেছে, ওই পোষ্যের আসল মালিক ও তাঁর গোটা পরিবারকে খুনের অভিযোগে (arrested for allegedly murder) জেলবন্দি করা হয়। বেচারা কুকুর! মালিক ও পরিবারের অন্যরা জেলে যাওয়ায় একা পড়ে যায় সে, তাঁকে খাবার দেওয়া তো দূর অস্ত, জল দেওয়ার মতোও কাউকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এই পরিস্থিতিতেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীরা। জানা গেছে, যতদিন পর্যন্ত না কেউ কুকুরটির দায়িত্ব নিচ্ছে ততদিন ওই পুলিশ কর্মীরাই দেখাশোনা করবেন পোষা ল্যাব্রাডরটির (Labrador)।
মৌলবাদী কার্যকলাপ ছড়াতে রাজ্যের ২ জেলার মাদ্রাসা ব্যবহার করছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী; কেন্দ্র
সুলতানের মালিক মনোহর আহিরওয়ার ও তাঁর দুই ছেলে নিজেদের ৫ আত্মীয়কে খুন করেন। খুন হওয়া ওই ৫ জনের মধ্যে একটি ১০ বছরের শিশুও ছিল।এরপরেই ওই খুনের অভিযোগে পুলিশ (Police) তাঁদের গ্রেফতার করে (arrested for allegedly murder)। কিন্তু ওই গ্রেফতারির পর দেখা যায় মালিক ও তাঁর দুই ছেলেই জেলে যাওয়ায় তাঁদের পোষা কুকুরটিকে খাবার বা জল দেওয়ার মতো কেউ ওই বাড়িতে নেই।পুলিশ জানিয়েছে যেদিন ওই ৩জনকে গ্রেফতার করতে তাঁদের বাড়িতে যাওয়া হয় তখন মালিককে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বুঝতে পেরে পুলিশদের আক্রমণও করে পোষা কুকুরটি (Pet Dog)। কিন্তু এখন সেই সুলতানই তাঁদের কাছে পরিবারের মতো হয়ে গেছে। যেখানে পুলিশ আধিকারিকরা বিশ্রাম নেন সেই একই ঘরে বিশ্রাম করে সেও। পুলিশ আধিকারিকরা নিজেরা বাড়িতে রান্না করা মাংস খাওয়ান ও যথেষ্ট আদর যত্ন করেন সুলতানকে।
“আমরা ওই খুনি পরিবারের আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের তাঁদের পোষা কুকুরটির দায়িত্ব নেওয়ার জন্যে প্রথমে অনুরোধ করি। কিন্তু তাঁরা তা প্রত্যাখ্যান করেন।ফলে কুকুরটিকে থানায় নিয়ে আসা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না আমাদের কাছে। কারণ ওই কুকুরটিকে(Pet Dog) ওখানে ফেলে রেখে এলে খাবার ও জলের অভাবে মারা যেত সে। আমরাই ওকে এখানে নিয়ে আসি। এখন ওকে আমরাই স্নান-খাওয়া করাই, হাঁটাতেও নিয়ে যাই”,এনডিটিভিকে জানান ওই থানার দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিক মণীষ তিওয়ারি।
শিকারীদের হাতে মৃত মাকে জাগানোর আপ্রাণ চেষ্টা গণ্ডার শাবকের! দেখুন মর্মান্তিক ভিডিও
এখন সুলতান নামের ওই কুকুরটি তাঁদের রোজকার জীবনের সঙ্গে এমন ভাবে জড়িয়ে গেছে যে তাকে ছাড়া জীবন কাটানোর কথা ভাবতেই পারেন না তাঁরা।একমাত্র যে পরিবার সুলতানের যথাযথ যত্ন করতে পারবে তাঁদের হাতেই তুলে দেওয়া হবে তার দায়িত্ব, একথাও জানানো হয়েছে ওই পুলিশ(Police) কর্মীদের তরফে।