ফের খুন বিজেপি নেতা! হুগলির চুঁচুড়ার খালে মিলল ওই নেতার দেহ
চুঁচুড়া: রবিবার পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) হুগলি জেলার (Hooghly) চুঁচুড়ার একটি খাল থেকে মিলল বিজেপি নেতার দেহ। জানা গেছে ওই ব্যক্তি (BJP leader dead) নিজেও একটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, কোটা গ্রামের গোঘাট ব্লকের একটি খাল থেকে বছর চল্লিশের কাশীনাথ ঘোষের দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার পুলিশ (Police) সুপার তথাগত বসু। ওই বিজেপি নেতার দেহ মেলার পর তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। যদিও তৃণমূলের এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি কর্মীরা (BJP) ওই ব্যক্তির দেহের ময়নাতদন্তের দাবি তুলেছেন বলে জানা গেছে। যদিও গোঘাটের তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদার ওই মৃত ব্যক্তিকে নিজেদের দলের প্রাক্তন কর্মী হিসাবে উল্লেখ করে জানিয়েছেন, গত ২৩ মে ওই ব্যক্তি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। "অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে", দাবি করেন গোঘাটের তৃণমূল বিধায়ক।
বিচারের দাবিতে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে পারে রাজ্যে নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবার
ওদিকে আরামবাগের বিজেপি (BJP) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ তৃণমূলের (TMC) দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, "যদি অতিরিক্ত মদ্যপানই তাঁর মৃত্যুর কারণ হয়, তাহলে তাঁর হাত বাঁধা ছিল কেন এবং কেনই বা তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে?", যদিও বিজেপির এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও মন্তব্য করেননি জেলার পুলিশ সুপার।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের 'স্বৈরতন্ত্রে'র বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন রাজ্যের বিজেপি সাংসদরা
তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পুলিশ কাশীনাথ ঘোষের মৃতদেহ উদ্ধার করার পরেই একটি প্রতিবাদ মিছিল করেন এলাকার গেরুয়া দলের (BJP) কর্মীরা। জানা গেছে, মৃত কাশীনাথ ঘোষের নামে খুনের মামলা চলছিল। গত ২২ জুলাই প্রতিবেশী গ্রাম নাকুন্দায় এক খুনের ঘটনার অভিযোগে ২৭ জন সন্দেহভাজনের তালিকায় ছিল ওই বিজেপি নেতার নামও।
তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব দাবি করেছেন যে মৃত কাশীনাথ ঘোষ তৃণমূল কংগ্রেসেরই সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি এও দাবি করেছেন যে, গত ২১ জুলাই কলকাতায় শহিদ দিবসের মিছিলে তৃণমূলের হয়ে দলীয় কর্মীদের নেতৃত্ব দেওয়ার কারণেই খুন হতে হয় তাঁকে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)