কলকাতা: জোড়া খুন ও পরে আত্মহত্যা মামলায় নতুন সূত্র হাতে পেল কলকাতা পুলিশ। জানা গিয়েছে, স্ত্রীকে খুন করতে মার্চ মাসেই বন্দুক কিনেছিলেন অভিযুক্ত। লকডাউনের দিনকয়েক আগে এই পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। কিন্তু এরপর সংক্রমণ আর লকডাউন তাঁর বাড়া ভাতে ছাই ঢালে। তাই সেই সময় স্ত্রীকে বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru murder) খুন করতে পারেননি পেশায় সিএ অমিত আগরওয়াল। পুলিশ (Kolkata Police) সূত্রে খবর, অত্যন্ত উচ্চকাঙ্খী ছিলেন অমিত। সম্প্রতি পেশাগত প্রয়োজনে তাঁর অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। উদ্যোগ নিয়ে বের করে ফেলেছিলেন ভিসাও। কিন্তু বাধ সেধেছিলেন অভিযুক্তের স্ত্রী। তিনি দেশ ছাড়তে পারবে না, এটা জানিয়ে দিয়েছিলেন অমিতকে। সেই থেকে বিবাদের সূত্রপাত। সেই বিবাদ এমন পর্যায়ে গড়ায় আলাদা থাকতে শুরু করেন এই দম্পতি। আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলাও দায়ের হয়। কিন্তু অমিত বুঝতে পারেন সন্তানের অধিকার তিনি পাবেন না। তখনই খুনের সিদ্ধান্ত হয়। এদিকে মেয়ের সঙ্গে বিবাদের কারণে প্রায়ই জামাইকে হেনস্থা করতেন শাশুড়ি। সেই রাগ থেকে কলকাতায় এসে শাশুড়িকেও খুন করেছেন অমিত এমনটাই সূত্রের খবর।
আরও জানা গিয়েছে, অমিতের বেঙ্গালুরুর ফ্ল্যাট থেকে একটা সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সেখানে স্ত্রী শিল্পীকে খুন করতে সুপারি দেওয়ার পরিকল্পনাও করেছিলেন অমিত। এমনকী, সাপের বিষের ব্যবহার শিখেছিলেন এই সিএ। এখানেই শেষ নয় স্ত্রীকে খুন করে ছেলেকে রান্না করে খাইয়েছিল অভিযুক্ত। এমনটাই কলকাতা পুলিশকে জানিয়েছে বেঙ্গালুরু পুলিশ।
লালবাজার সূত্রে খবর, এরপরেই তিনি বিমান ধরে কলকাতা এসেছিলেন। দমদমে নেমে এক বন্ধুকে ফোন করেন অমিত। সেই বন্ধু তাঁকে মানিকতলা পর্যন্ত ছেড়ে দেয়। সেখানে থেকেই শিল্পীকে তাঁর বাবার উপহার দেওয়া ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন অমিত। এলাকার সিসিটিভিও খতিয়ে দেখেন তিনি। এরপরে ফুলবাগানে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে শাশুড়ি ললিতাকে খুন করেন অভিযুুক্ত। এরপরে নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে কোনওভাবে প্রাণে বেঁচে ফুলবাগান থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন অমিতের শ্বশুর। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর ল্যাপটপ ব্যাগ থেকে উদ্ধার হওয়া নোট এই তদন্তে অনেক সাহায্য করেছে।