Read in English
This Article is From Sep 04, 2019

PM Modi-র সামনে "নির্ভয়ে" কথা বলতে পারেন,দরকার এমন নেতা: মুরলি মনোহর যোশী

মুরলি মনোহর যোশী আগেও দলীয় নেতৃত্বের সমালোচনা করেন এবং লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় বিরক্তিও প্রকাশ করেন তিনি।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By (with inputs from ANI)

কংগ্রেস নেতা জয়পাল রেড্ডির শ্রদ্ধা নিবেদন করে ওই মন্তব্য করেন মুরলি মনোহর যোশী (Murli Manohar Joshi) ।

নয়াদিল্লি:

ফের একবার বিজেপির অভ্যন্তরে বিতর্ক উস্কে দিলেন প্রবীণ নেতা মুরলি মনোহর যোশী। বর্তমানে ভারতের এমন নেতার দরকার যে প্রধানমন্ত্রী মোদির সামনে নির্ভয়ে কথা বলতে পারেন এবং প্রয়োজনে তাঁর সঙ্গে তর্কও করতে পারেন, বলেন ওই বিজেপি নেতা (Murli Manohar Joshi)। তিনি আরও বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বের বিষয়ে দলীয় আলোচনার অনুশীলন বর্তমানে "প্রায় শেষ" এবং অবশ্যই বিষয়টিকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। জুলাইয়ে প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা জয়পাল রেড্ডিকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন যোশী। এর আগেও দলীয় নেতৃত্বের সমালোচনা করেন প্রবীণ ওই বিজেপি নেতা। এমনকী গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় বিরক্তিও প্রকাশ করেন তিনি।

ভোটে দাঁড়াতে বারণ করেছে বিজেপি, ভোটারদের চিঠি লিখে জানালেন যোশী

"আমি বিশ্বাস করি যে আজকের দিনে এমন নেতৃত্বের অত্যন্ত প্রয়োজন যে বা যাঁরা স্পষ্টভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারবেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নীতিনির্ধারণ সংক্রান্ত বিষয়ে অংশ নিয়ে বিতর্ক করতে পারবেন, বিনা দ্বিধায় এবং তাকে খুশি বা অখুশি করার বিষয়ে উদ্বিগ্ন না হয়েই এগুলো করতে পারবেন এমন নেতারই প্রয়োজন,", বলেন মুরলি মনোহর যোশী।

যোশীর এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে কারণ ৮৫ বছর বয়সী ওই বিজেপি নেতা এর আগেও দলীয় নেতৃত্বের সমালোচনা করেছেন । ২০১৪ থেকে শুরু হওয়া নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ জমানায় যোশী, এল কে আদবানির মতো নেতাদের একরকম মূলধারার রাজনীতি থেকে অবসর নিতে বাধ্য করা হয়।

প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়পাল রেড্ডির স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোশী স্মরণ করিয়ে দেন যে, রেড্ডি যখন মন্ত্রী ছিলেন, ১৯৯০-এর দশকে বৌদ্ধিক সম্পত্তি অধিকার নিয়ে আলোচনার মূল ফোরামে অংশ নিয়েছিলেন তিনি এবং প্রায়শই সরকারি নীতির বাইরেও চলে যেতেন ওই কংগ্রেস নেতা।

Advertisement

এমনকি সেইসময়ে সংসদে একটি ফোরামও ছিল যেখানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মুখোমুখি আলোচনা হত, বলেন যোশী।

আদবানীকে কোনও চিঠি লেখেননি দাবি যোশীর, কমিশনে অভিযোগ দায়ের

Advertisement

"সেই সময় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বিভিন্ন পক্ষের নেতারা একসঙ্গে হয়ে মতামত প্রকাশ করতেন এবং একটা ঐক্যমতে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হত। বর্তমানে এই প্রচেষ্টা প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এ জাতীয় অনুশীলন পুনরুদ্ধার করা জরুরি", বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ-রাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। 

Advertisement