This Article is From Oct 12, 2019

মুর্শিদাবাদের ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই, টুইটারে বলল রাজ্য পুলিশ

সোমবার মুর্শিদাবাদের একটি বাড়িতে ৩৫ বছর বয়সী এক স্কুল শিক্ষক, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের ছয় বছরের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করার পরে বাংলার সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে বিজেপি

মুর্শিদাবাদের ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই,  টুইটারে বলল রাজ্য পুলিশ

সোমবার বন্ধু প্রকাশ পাল নামে যে প্রাথমিক শিক্ষক এর খুনের ঘটনা ঘটেছে তিনি কিছুদিন আগেই আরএসএস এ যোগ দিয়েছিলেন বলে দাবি BJP-র

কলকাতা:

মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) একই পরিবারের ৩ জনের হত্যার পর এবং পরে নদিয়া জেলা থেকে এক পুরোহিতের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনার পর গোটা রাজ্যে (West Bengal) রাজনৈতিক চাপানউতোর ক্রমশই বাড়ছে। ঘরে-বাইরে ক্রমশ চাপ বাড়তে থাকায় এবার মুর্শিদাবাদের হত্যার ঘটনা নিয়ে টুইটারে আপডেট দিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এই বছরের শুরুর দিকে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি তৃণমূলের থেকে ১৬ টি আসন ছিনিয়ে নেয়, তারপর থেকেই  রাজ্যে একের পর এক রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা সামনে আসছে। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা চরমে উঠেছে বলে অভিযোগ।

বাংলার পরিস্থিতি জানাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির কাছে সময় চাইল বিজেপি

মুর্শিদাবাদে বাড়ির ভিতরে ঢুকে আট বছরের শিশু সহ প্রাথমিক শিক্ষক ও তাঁর গর্ভবতী স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় শিউরে ওঠে বাংলা! মঙ্গলবার জিয়াগঞ্জে রক্তে ভেসে যাওয়া অবস্থায় বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় ৩৫ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষক বন্ধু প্রকাশ পাল, তাঁর স্ত্রী বিউটি (৩০) ও ছেলে অঙ্গনের লাশ। বিজেপি এবং দলের আদর্শবিষয়ক পরামর্শদাতা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) জুড়ে যায় এই ঘটনায়। আরএসএসের দাবি, বন্ধু পাল একজন আরএসএস কর্মী ছিলেন। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এই সপ্তাহের গোড়া থেকে নিখোঁজ থাকা এক পুরোহিতের মৃতদেহ মেলে বৃহস্পতিবার । এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে নতুন করে কাঠগড়ায় তোলে । ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার আবহ তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ করে গেরুয়া শিবির। মৃত পুরোহিতের নাম সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪২ বছরের ওই পুরোহিতকে গত সোমবার থেকে পাওয়া যাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার নদীর তীরে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

এরপরেই স্থানীয় বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার ওই পুরহিতকে একজন বিজেপি কর্মী বলে দাবি করেন এবং অভিযোগ করেন যে, রাজনৈতিক হিংসার কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল। এই বক্তব্যকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিও সমর্থন করেছিলেন।

বিজেপি রাজনৈতিক হিংসা বৃদ্ধির অভিযোগ তুললে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ একটি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছে যে মুর্শিদাবাদের হত্যার সঙ্গে "রাজনীতির সাথে কোনও সম্পর্ক নেই"।

"নদিয়ার হিন্দু পুরোহিত ও বিজেপি কর্মী সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। গত ৪ দিনের মধ্যে আটজন নিহত হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন রসিকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তথাকথিত উদারপন্থীরা নিঃশব্দ দর্শক রয়েছেন কেন ? বাংলার মানুষ প্রতিশোধ নেবে , অপেক্ষা করুন এবং দেখুন", টুইট করে বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।

"আমাদের লজ্জা হওয়া উচিৎ": জিয়াগঞ্জের শিক্ষক খুন নিয়ে 'মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী'কে লিখলেন অপর্ণা সেন

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরও এই ঘটনার নিন্দা করেন। তিনি বলেন যে এই ঘটনাকে "কার্পেটের নিচে লুকনো যাবে না"। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের "নীরবতা" নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস জবাব দেন রাজ্যপাল "সাংবিধানিক লক্ষ্মণ রেখাকে অতিক্রম করছেন" এবং এই সব কথা বলার পরিবর্তে রাজ্যপালকে ত্রিপুরা, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের অপরাধের দিকে নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল।

মুর্শিদাবাদের খুনের ঘটনায় শিউরে উঠেছেন সবাই, দেখুন ভিডিও:

.