This Article is From Sep 20, 2018

অস্ত্রবিহীন মহরম মিছিলের ডাক দিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা

নাখোদা মসজিদের ইমাম মৌলানা মহম্মদ শফিক কাজমি বৃহস্পতিবার বলেন যে তিনি নিজেই তাঁর সম্প্রদায়ের মানুষদের মহরমের মিছিলে যোগ দেওয়ার সময় অস্ত্র প্রদর্শন না করার ব্যাপারে আবেদন জানিয়েছেন।

অস্ত্রবিহীন মহরম মিছিলের ডাক দিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা

আগামীকাল দেশজুড়ে পালিত হবে মহরম।

হাইলাইটস

  • মহরমের মিছিলে অস্ত্রপ্রদর্শন না করার আবেদন জানালেন নাখোদার ইমাম
  • এই একই আবেদন জানালেন আরও অনেক সংখ্যালঘু নেতা
  • আগামীকাল দেশজুড়ে পালিত হবে মহরম
কলকাতা:

মহরমের মিছিলে অস্ত্র প্রদর্শন নিয়ে ইদ্রিশ আলির বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি শোনা গেল রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একাধিক ধর্মীয় নেতার মুখেও। নাখোদা মসজিদের ইমাম মৌলানা মহম্মদ শফিক কাজমি বৃহস্পতিবার বলেন যে তিনি নিজেই তাঁর সম্প্রদায়ের মানুষদের মহরমের মিছিলে যোগ দেওয়ার সময় অস্ত্র প্রদর্শন না করার ব্যাপারে আবেদন জানিয়েছেন। তার কারণ হিসেবে তিনি বলেন যে এটি ইসলাম বিরোধী আচরণ। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে নাখোদার ইমাম বলেন, “ইসলামের কোথাও মহরমের মিছিলে অস্ত্র প্রদর্শনের কথা বলা হয়নি”। শিয়া সম্প্রদায়ের মৌলানা রিজভির গলায়ও নাখোদার ইমামের কথারই প্রতিধ্বনি। যদিও, মহরমের মিছিল নিয়ে তাঁর বক্তব্য কিছুটা আলাদা।

তিনি বলেন, “আমরা মিছিল বের করি, তার কারণ, মহরম হল একটি শোকের দিন। ওই শোকটাই আমরা পালন করি মিছিলের মধ্য দিয়ে। কিন্তু, আমরা (শিয়া) কখনওই মহরমের মিছিলে অস্ত্র প্রদর্শনকে সমর্থন করিনি, করবও না”।

শিয়াদের কাছে মহরম অতি বড় ধর্মীয় উৎসব। কারবালার যুদ্ধে হজরত মহম্মদের নাতি আল-হুসেনের মৃত্যুকে স্মরণ করেই এই দিন মিছিল বের করে শিয়ারা।

সুন্নিরা এই শোকের দিনটি পালন করে উপবাসের মাধ্যমে।

প্রসঙ্গত, তৃণমূল সাংসদ ইদ্রিশ আলি গতকালই প্রেস ক্লাবে মুসলমান সম্প্রদায়ের কাছে মহরমের মিছিলে অস্ত্র প্রদর্শন না করার ব্যাপারে আবেদন জানিয়েছিলেন।

পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ কামরুজ্জামানও মহরম শান্তিতে পালন করার জন্য অনুরোধ জানান।

রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব যদিও এই নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি। মহরমে অস্ত্র প্রদর্শন না করার ব্যাপারে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতাদের এই ডাককে স্বাগত জানিয়ে বিজেপি জানিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে বাংলাতে রামনবমী পালনেরই প্রভাব এটা!

“এই বাংলার হিন্দুরা যত বেশি করে সংঘবদ্ধ হচ্ছে, তত বেশি চাপে পড়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। তার কারণ, এই সরকারের নীতিটাই ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। যে কারণে, এখন দলের সব নেতারা মিলে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে নেমেছে”, বলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

.