জয় শ্রী রাম বলতে রাজি না হলে তাকে নিগ্রহের শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ বরকতের
নিউ দিল্লি: এবারের নির্বাচনে (General Elections 2019) বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরছে এনডিএ (NDA)। ইতিমধ্যেই নেতা নির্বাচিত হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। দিন দুয়েকের মধ্যেই দ্বিতীয় বারের মতো শপথ নিতে চলেছেন তিনি। সংসদের সেন্ট্রাল হলে নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর শনিবার তিনি বলেন সমাজের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। এতদিন যেভাবে ‘তাঁদের ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে' ব্যবহার করা হত তা পরিবর্তন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী (PM) যখন একথা বললেন তার একদিনের মধ্যেই বিজেপি (BJP) শাসিত হরিয়ানার গুরগাঁওতে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটল। মহম্মদ আলম বরকত নামে এক যুবকের দাবি মসজিদ থেকে প্রার্থনা করে ফিরে আসার সময় রাস্তায় চারজন লোক তাঁকে ঘিরে ধরে। পাঞ্জাবি ছিঁড়ে দেয় এবং বার বার জয় শ্রী রাম বলতে চাপ দিতে থাকে। রাজি না হলে তাকে নিগ্রহের শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ বরকতের।
NDTV টিভিকে তিনি বলেন, ‘আমি মসজিদ থেকে ফিরছিলাম তখন রাস্তায় একজন লোক আমায় বলে টুপি খুলে ফেলতে হবে। রাজি হয়নি বলে জোর করে টুপি খুলে দেয় এবং আমাকে মারতে থাকে। ইতিমধ্যে আরো কয়েকজন এসে ভিড় করে সেখানে। বরকতের দাবি ওই চারজন তাকে জয় শ্রী রাম ধ্বনি উচ্চারণ করতে চাপ দিতে থাকে। আমি জিজ্ঞেস করি আমায় কেন এ কথা বলতে হবে। এইটুকু বলার পরই মারধর শুরু করে এবং আমার পাঞ্জাবি ছিঁড়ে দেয়।'
এই ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশের তরফ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আশপাশে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। এবারের নির্বাচনে হরিয়ানা বিরোধীশূন্য হয়েছে ১০ টি আসনেই জিতেছেন বিজেপির প্রার্থীরা।
এখন গুরগাঁওতে থাকলেও বরকত আদতে বিহারের বেগুসরাইয়ের বাসিন্দা। এবারের ভোট প্রক্রিয়ার একেবারে শুরু থেকেই সকলের নজর ছিল বেগুসরাইয়ের দিকে। জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সভাপতি কানহাইয়া কুমার কে ৪ লাখ ভোটে পরাজিত করে জেতেন বিজেপির প্রার্থী গিরিরাজ সিং।
দুদিন আগে মধ্যপ্রদেশেও একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। গোমাংস নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দাবি করে এক মুসলমান দম্পতিসহ চারজনকে বেধড়ক মারধর করা হয় মধ্যপ্রদেশের সিওনিতে।