This Article is From Aug 12, 2019

কাশ্মীরে তীব্র নিরাপত্তা কড়াকড়ি ও সীমাবদ্ধতার মধ্যেই চলছে ঈদ উদযাপন

রবিবার শ্রীনগরে আবার কারফিউ জারি হয়। গত শনিবারই সরকার এবং রাজ্য পুলিশ জানিয়েছিল, জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ।

জম্মু ও কাশ্মীরে আশেপাশের ছোট ছোট মসজিদে ঈদের নমাজ পাঠ হয়।

শ্রীনগর:

রবিবার ফের কারফিউ জারি হওয়ায় সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) পথঘাট থমথমে ও নির্জন। বিশেষত কাশ্মীরের (Kashmir) শ্রীনগরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই চলছে ঈদ (Eid-al-Adha) উদযাপন। হিংসা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় শ্রীনগরের বেশিরভাগ মসজিদে ঈদের (Eid) নমাজ পাঠের অনুমতি দেওয়া হয়নি।রবিবার শ্রীনগরে (Srinagar) আবার কারফিউ (Curfew) জারি হয়। গত শনিবারই সরকার এবং রাজ্য পুলিশ জানিয়েছিল, জম্মু ও কাশ্মীরের (J&K) পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ। জম্মু ও কাশ্মীরে আশেপাশের ছোট ছোট মসজিদে ঈদের নমাজ পাঠ হয়, সরকারের তরফ থেকে ঈদের নমাজ পাঠের ছবি দেওয়া হয়েছে। 

জম্মু ও কাশ্মীরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতি সহ বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ, যাঁরা গত সপ্তাহ থেকে নজরবন্দি রয়েছেন, তাঁদের স্থানীয় মসজিদে নমাজ পাঠের অনুমতি দেওয়া হয়েছে ।

আবার কার্ফু জারি শ্রীনগরে, সবাইকে বাড়ি ঢুকে যেতে নির্দেশ পুলিশের

সরকার জানিয়েছে যে শনিবার নিরাপত্তা শিথিল করার পরে শ্রীনগরে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি, তার জেরেই রবিবার থেকে ফের সেখানে কারফিউ জারি করা হয়। 

কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে এবং রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। গত সপ্তাহ থেকেই ওই রাজ্যের বেশিরভাগ অংশে সুরক্ষা আঁটোসাঁটো করা হয়। শনিবার কারফিউ শিথীল করার পর বহু মানুষ রবিবার শ্রীনগরে ঈদের (Eid) কেনাকাটায় যোগ দেন। "বহু মানুষ ঈদের জন্যে রাজ্যের বাইরে থেকে আসছেন এবং কেনাকাটা করছেন। আজও (সোমবার) প্রচুর সংখ্যক মানুষ রাস্তায় বেরিয়েছেন। যেখানেই বিধিনিষেধ রয়েছে, সেখানেই তাঁরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছেন। নিজেদের প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করতে শ্রীনগরে আসতে ইচ্ছুক এমন মানুষদের সুবিধার্থে আমরা সবরকম সাহায্য করার চেষ্টা করছি", জানান পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান সচিব রোহিত কনসাল।

৩৭০ ধারা বাতিল করার ফলেই কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের সমাপ্তি ঘটবে: অমিত শাহ

তিনি বলেন, মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে সবরকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তবে সূত্র জানায়, পুলিশ লাউড স্পিকারের মাধ্যমে মানুষজনকে তাঁদের ঘরে ফিরে যেতে বলছে এবং দোকানপাট বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে।

হাজার হাজার নিরাপত্তা রক্ষী কাশ্মীর (Kashmir) উপত্যকায় রয়েছেন এবং ফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা এখনও ব্যাহত রয়েছে সেখানে।

শ্রীনগরে (Srinagar) ঈদ উদযাপনের জন্য কয়েকটি  সাময়িক বাজার তৈরি করা হয়েছে এবং সবজি, এলপিজি সিলিন্ডার, হাঁস এবং ডিম ঘরে ঘরে মোবাইল ভ্যানের মাধ্যমে সরবরাহ করা হচ্ছে। মানুষজনকে তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগের সুবিধা করতে অনেক জায়গাতেই বিশেষ টেলিফোন বুথও বসানো হয়েছে।

এদিকে জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) নিয়ে কেন্দ্রের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ওমর আবদুল্লাহর ন্যাশনাল কনফারেন্স সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। দলটির সাংসদ আকবর লোন এবং হাসনাইন মাসুদির দায়ের করা আবেদনে দলটি কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ "বেআইনি" বলে দাবি করেছে।

.