এই মন্দিরেই দেওয়া হয় মাটন বিরিয়ানি প্রসাদ
তামিলনাড়ু: বিরিয়ানির নাম শুনেই মন ফুরফুরে হয়ে যায়। আশেপাশের সমস্ত সমস্যা কেমন যেন হালকা হয়ে যায়! চিকেন বিরিয়ানি, মাটন বিরিয়ানি, এগ বিরিয়ানি, সোয়া বরিয়ানি এবং এগ বিরিয়ানি এসব তো নিছক খাবার নয়, এ আসলে ভালোবাসারই অন্য নাম। কিন্তু যদি এই বিরিয়ানিই মন্দিরে প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয় তাহলে? এমন কি কখনও হতে পারে নাকি বলে যারা নাক কোঁচকাচ্ছেন, তাঁদের জন্য বিশেষ খবর। দক্ষিণ ভারতে এমনই এক মন্দির রয়েছে যেখানে মাটন বিরিয়ানি প্রসাদ হিসেবে ভক্তদের খাওয়ানো যায়। খিচুড়ি বা পায়েস নয় এখানে হাজার হাজার মানুষ বিরিয়ানি প্রসাদ খেতে আসেন।
CBSE-র English Core পরীক্ষায় এসেছে 'আউট অফ সিলেবাস' প্রশ্ন, অভিভাবকরা জানিয়েছেন পরীক্ষার্থীদের 6 Marks
তামিলনাডুর মাদুরাইতে অবস্থিত ওড়ক্কমপট্টি গ্রামের এই মন্দিরে কিন্তু আজ থেকে নয় সেই ১৯৩৭ সাল থেকেই প্রসাদ রূপে মানুষকে বিরিয়ানি খাওয়ানো হচ্ছে। এই বিরিয়ানি মুনিয়াদি নামের একটি হোটেল থেকেই খাওয়ান হয়। বস্তুত, এই গ্রামের স্থানীয় দেবতা মুনিয়াদির নাম অনুসারেই এই হোটেলেরও নাম। ব্যবসায়ী গুরুস্বামী নাইডু মুনিয়াদি হোটেল শুরু করেন। তারপর একের পর এই দেবতার নামে মুনিয়াদি হোটেল খুলতে থাকেন অন্য ব্যবসায়ীরাও। এই সব হোটেলই সুস্বাদু আমিষ খাবার বিক্রির জন্য বিখ্যাত।
হাসপাতালে থাকা অভিনন্দন বর্তমানকে দেখতে এলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন
সমগ্র দক্ষিণ ভারত জুড়ে এখন প্রায় ১৫০০ মুনিয়াদি হোটেল রয়েছে। হোটেল মালিকরা দুই দিনব্যাপী মুনিয়াদি ফেস্টিভালে প্রতি বছর একজোট হন। এখানেই প্রসাদে মাটন বিরিয়ানি খাওয়ানো হয়। এই উৎসবে আসলে সমস্ত ব্যবসায়ী তাঁদের আরাধ্য দেবতা মুনিয়াদিকে (Muniyandi God) বিরিয়ানি অর্ঘ্য দেন। তাঁদের দোকানের ব্যবসা ভালো হওয়ার কৃতিত্ব সঁপে দেন এই দেবতাকে। সাম্প্রতিক এই উৎসবে প্রায় ৮ হাজার মানুষকে মাটন বিরিয়ানি খাওয়ানো হয়েছে।