Read in English
This Article is From Jul 06, 2020

গালওয়ানে ভারত-চিন সমঝোতা? কিছুটা পিছু হটলো দুই দেশের সেনা

India-China Stand-off: দুই দেশের তরফ থেকেই গালওয়ান উপত্যকার আশেপাশে তৈরি অস্থায়ী ছাউনি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Highlights

  • গালওয়ান উপত্যকা থেকে কিছুটা হলেও পিছু হটলো চিনের সেনাবাহিনী
  • জানা গেছে, কিছুটা জায়গা ছেড়েছে ভারতীয় সেনাও
  • ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু অস্থায়ী কাঠামোও
নয়া দিল্লি:

ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেই সপ্তাহের শুরুতে যেন এক সুখবরের আভাস মিলল। সূত্রের খবর, গালওয়ান (Galwan) উপত্যকার আশেপাশের এলাকা থেকে দুই দেশেরই সেনাবাহিনীকে কিছুটা হলেও পিছনে সরিয়ে নেওয়া হলো। অনেকেই বলছেন, এই ঘটনা যদি পাকাপাকি ভাবে ঘটে তবে এটা মানতেই হবে যে, ভারতের (India) দৃঢ় মানসিকতার কাছে কিছুটা হলেও নতিস্বীকার করলো চিন (China)। সূত্র জানাচ্ছে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান নদী উপত্যকার আশেপাশের এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে কিছু অস্থায়ী কাঠামোও। ওই এলাকায় ভারত ও চিনা সেনাদের মধ্যে একটি 'বাফার জোন' তৈরি করা হয়েছে। তবে এটা দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যেই করা হয়েছে কিনা তা জানার জন্যে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। গত মাসের শেষের দিকে এই এলাকাতেই ভারত এবং চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে যাতে ভারতের ২০ জন জওয়ান আত্মবলিদান দেন।

ভারতের বিরুদ্ধে চিনের আগ্রাসনই প্রমাণ করে "কমিউনিস্ট পার্টির প্রকৃত মনোভাব": আমেরিকা

শুক্রবারই লাদাখে ভারতীয় সেনা ছাউনিতে সটান হাজির হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতীয় সেনাদের উৎসাহিত করতে বেশ কিছু কথাও বলেন তিনি। চিনের নাম না করেই প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, "আগ্রাসনের যুগ শেষ। এখন প্রগতির যুগ। আগ্রাসীরা শান্তি নষ্ট করে। জল, স্থল, এমনকী অন্তরীক্ষেও শক্তি বাড়িয়েছে ভারত। লাদাখ চক্রান্ত ব্যর্থ করেছে ভারতীয় সেনা।"

Advertisement

৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ, আখেরে ভারতের ক্ষতি: চিনা বিদেশ মন্ত্রক

গত সপ্তাহেও, গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষের পরে সমাধান খুঁজতে তৃতীয় দফায় আলোচনায় বসেন ভারত ও চিনা সেনাবাহিনীর শীর্ষকর্তারা। যদিও পরে জানা যায়, সেই বৈঠক থেকে কোনও রফাসূত্র মেলেনি।

Advertisement

এরপরেই লাদাখে গিয়ে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির সাক্ষাৎ ও আলোচনা চিনের উদ্দেশে এক কড়া বার্তা হিসাবেই যায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

প্রধানমন্ত্রী সেনা জওয়ানদের উদ্দেশে বলেন, "মাতৃভূমির রক্ষায় আপনাদের সাহস অসমান্তরাল। যতটা উঁচুতে আপনারা রয়েছেন তার থেকেও অনেক বেশি আপনাদের সাহস। আপনাদের বাহু ততটাই শক্ত, যতটা শক্ত পর্বত আপনাদের ঘিরে রেখেছ। আপনাদের আত্মবিশ্বাস, দৃঢ়তা আর  বিশ্বাস একটি পর্বত শিখরের মতোই অটল"।

Advertisement

তিনি  আরও বলেন, "ভারত মায়ের শত্রুরা আপনাদের প্রত্যাঘাত দেখেছ। এই পরিস্থিতিতেও আপনারা নিজেদের সেরাটা দিয়েছেন। দুর্বলতা শান্তি আনতে পারে না। সাহসীরাই পারে। আপনারা সেটাই করে দেখাচ্ছেন। বিশ্বের অন্য সব দেশের বাহিনীর চেয়ে ভারতীয় সেনারা যে শক্তিশালী সেটা প্রমাণ হয়েছে। আমি আপনাদের, কুর্ণিশ করি। যাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের শ্রদ্ধা জানাই । লাদাখের সব নদী, সব স্রোত, সব নুড়ি জানে এটা ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।"

এর আগে 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে খুব স্পষ্টগলায় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, "যারা লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে তাকানোর সাহস দেখিয়েছে, তাদের যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে। কী ভাবে বন্ধুত্ব রাখতে হয়, সেটা যেমন ভারত জানে, তেমনই কী ভাবে কারও সঙ্গে যুঝতে হয় এবং জবাব দিতে হয়, সেটাও দেশের জানা রয়েছে। কারওকে ভারত মাতার সম্মান খর্ব করার অনুমতি যে দেওয়া হবে না, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন আমাদের সাহসী জওয়ানরা।"

Advertisement

তবে চিন স্বীকার করুক আর নাই করুক, সীমান্তে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে হওয়া সংঘর্ষে ক্ষতির মুখে পড়ে লাল ফৌজের শিবিরও। ভারতীয় সেনা বিশ্বাস করে যে কমবেশী ৪৫ জন চিনা সেনা হতাহত হয় ওই দিন।

Advertisement