‘সিল’ করে রাখা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুজফফরনগরের ৬০টিরও বেশি দোকান।
নয়াদিল্লি: নতুন নাগরিকত্ব আইনের (New Citizenship Law) প্রতিবাদে বৃহস্পতিবারের মহামিছিলের পর এখনও ‘সিল' করে রাখা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুজফফরনগরের ৬০টিরও বেশি দোকান। সেদিনের হিংসার পরে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানান, ‘‘আমরা ওদের উপরে বদলা নেব।'' তিনি বলেন, ‘‘লখনউ ও সম্ভলে হিংসা ছড়িয়েছে এবং আমরা তাকে কড়াভাবে দমন করব। জনগণের সম্পত্তি যারা ভেঙেছে তা তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নিলাম করে ক্ষতিপূরণ করা হবে। সিসিটিভি ফুটেজ ও ভিডিওতে তাদের দেখা গিয়েছে। আমরা বদলা নেব।'' ২০১৩ সালে মুজাফফরনগরের এই এলাকাই দাঙ্গার শিকার হয়েছিল। এবার হিংসা ছড়িয়ে পড়ার পরে সেদিন সন্ধ্যা থেকে ৬৭টি দোকান বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
লখনউ বা সম্ভলে অবশ্য কোনও দোকান ‘সিল' করে রাখা হয়নি। যদিও সেখানেও প্রবল হিংসা দেখা গিয়েছে। তবে লখনউতে কোনও কোনও দোকান ‘সিল' করার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
"পুলিশ গুলি চালায়নি" দাবি নস্যাৎ করল ভিডিও! হাতে রিভলভার নিয়ে গুলি চালাচ্ছে কানপুরের পুলিশ
গত শুক্রবার রাজ্যের অন্য ১২টি জেলার মতো হিংসার সাক্ষী হয় মুজাফফরনগর। শুক্রবার প্রার্থনার পরই এই হিংসা শুরু হয়। প্রায় ১০টি বাইক ও বহু গাড়িতে আগুন লাগানো হয়। জনসম্পত্তি ধ্বংস করা হয়। ওইদিনের ঘটনায় প্রায় ৩০ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে ১২ জন পুলিশ আধিকারিক।
এখনও জানা যায়নি, কেন এই সব দোকানের মালিককে প্রশাসন অন্যায়কারী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের এক সিনিয়র আধিকারিক অভিষেক যাদব জানিয়েছেন, ‘‘এই সব দোকানের বাইরে জনতা জমা হয়েছিল। আমরা এখনও তদন্ত করছি কারা ওই হিংসার জন্য দায়ী।''
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ, গাজিয়াবাদে গ্রেফতার ৬৫ জন
প্রসঙ্গত, এমন কোনও আইন নেই যার বলে কোনও দোকান এভাবে সিল করে রাখা যায় বা অভিযুক্তদের সম্পত্তি বিক্রি করে জনসম্পত্তি নষ্টের ক্ষতিপূরণের অঙ্ক সংগ্রহ করা যায়।
শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের তেরোটি জেলায় প্রতিবাদের সময় তেরোজন মারা যান। এই তেরোটি জেলা হল শাহরানপুর, দেওবন্দ, শামলি, মুজাফফরনগর, মীরাট, গাজিয়াবাদ, হাপুর, সম্ভল, আলিগড়, বাহরিচ, ফিরোজাবাদ, কানপুর, ভাদোহি ও গোরক্ষপুর।
রাজ্যের বহু এলাকায় এখনও বন্ধ ইন্টারনেট। জারি রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। ৭০৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ১২৪টি মামলা রুজু করেছে।
২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসার পর যোগী আদিত্যনাথ সরকার ১০০-র বেশি দাঙ্গার মামলার মধ্যে অন্তত ৭৪টি বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছে। কিন্তু এগুলি এখনও বকেয়া রয়েছে।