Read in English
This Article is From Aug 02, 2018

52 দিন ধরে নিখোঁজ আবাসিক হোমের 11 জন মহিলা, সব জেনেও চুপ কর্মকর্তারা

শিশুধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত বিহারের ব্রজেশ ঠাকুরের মুজাফফরপুরের আবাসিক হোম থেকে  11 জন মহিলা নিখোঁজ হয়েছেন, তা হয়ে গেল বহুদিন

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By

সূত্র জানিয়েছে, ব্রজেশ ঠাকুরের তুমুল ক্ষমতার কারণেই তাঁর গায়ে আঁচ লাগতে দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ

পাটনা:

জানত সবাই। তবু, এক পা'ও এগোয়নি কেউই। শিশুধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত বিহারের ব্রজেশ ঠাকুরের মুজাফফরপুরের আবাসিক হোম থেকে  11 জন মহিলা নিখোঁজ হয়েছেন, তা হয়ে গেল বহুদিন। ওই ঘটনার  প্রায় দু'মাস বাদে তা নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হল। তদন্তে জানা গিয়েছে গত মার্চ মাসের  20 তারিখ এই এগারো জন মহিলার অন্তর্ধানের বিষয়টি সামনে এলেও, তা নিয়ে নিশ্চিতভাবে জানা যায় গত জুন মাসের  9 তারিখ। কিন্তু অভিযোগ দায়ের করতে করতে লেগে যায় আরও প্রায় দু'মাস। ব্রজেশ ঠাকুরের নামে চার্জশিট বেরোনোর দু'দিন পর 30 জুলাই।

‘বলাকা গৃহ’ নামের ওই আবাসিক হোমের নাবালিকাদের ধর্ষণ নিয়ে চতুর্দিক থেকে আওয়াজ ওঠা সত্ত্বেও স্থানীয় শিশু সুরক্ষা কর্মকর্তা পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করতে অস্বীকার করেন। সূত্র জানিয়েছে, পাটনার সমাজ কল্যাণ মন্ত্রক থেকে তাঁর ওপরতলার কঠোর নির্দেশ আসার পর পুলিশে অভিযোগ দয়ের করেন তিনি।

জেলার শিশু সুরক্ষা দফতরের ওই সহকারী পরিচালক দেবেশ কুমার শর্মার কথায়, তাঁর নিজের কারণে পুলিশে অভিযোগ করাতে বিলম্বটি হয়নি। এই বিলম্বের জন্য তাঁর অভিযোগের তীর পাটনার রাজ্য সচিবালয়ের দিকে। সেখান থেকে নির্দেশ আসে 20 জুলাই। তারপর 30 জুলাই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। যদিও, সেটাও সম্ভব হয়, পুলিশের এক পদস্থ কর্তার তরফ থেকে আসা প্রবল বাধাকে উপেক্ষা করে।

Advertisement

‘বলাকা গৃহ’র থেকে ঠিক দু’কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ‘স্বধার কেন্দ্র’। 18 বছরের বেশি বয়সী সহায়সম্বলহীন নারীদের জন্য ওই আবাসিক হোম। ওই হোমে তাঁদের পেশাদার প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।

গত মার্চ মাসের 20 তারিখ, রুটিন পরিদর্শনের সময়, প্রথম প্রকাশ্যে আসে যে, 27 জন মহিলার মধ্যে প্রায় এক ডজন মহিলার নাম রেজিস্টারে থাকা সত্ত্বেও তাঁরা নিখোঁজ। কিন্তু, তারপরেও পুলিশকে জানানো হয়নি। ওই রুটিন পরিদর্শনটি জেলার সমাজ কল্যাণ কমিটির পক্ষ থেকে করা হয়েছিল।

Advertisement

‘বলাকা গৃহ’র কেলেঙ্কারি সামনে আসার পর ওই কমিটি ও পুলিশের পক্ষ থেকে গত জুন মাসের 9 তারিখ ফের পরিদর্শন করা হয়। কিন্তু ওই আবাসিকে হোমটিতে গিয়ে দেখা যায়, তা তালাবন্ধ অবস্থায় রয়েছে। গতকাল স্থানীয় পুলিশ গিয়ে সেই তালা ভেঙে হোমের ভিতর থেকে প্রচুর কনডোম, ঘুমের ওষুধ এবং মদের বোতল উদ্ধার করে।  

Advertisement