This Article is From Aug 03, 2018

রিপোর্ট দেওয়া সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বিহারের আবাসিক হোমে

হরপল কৌর স্মৃতিচারণ করে বলেন ঠিক কেমনভাবে ওই আবাসিক হোমের নাবালিকাদের বন্দি করে রাখা হত

এই আবাসিক হোমের মালিক ব্রজেশ ঠাকুর।

পাটনা:

গত মে মাসে বিহারের মুজফফরপুরের আবাসিক হোমে পর্যবেক্ষকদের দল গিয়ে যে রিপোর্ট দিয়েছিল, তারও অনেক আগে বিহারের শিশু অধিকার কমিশনের কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্তা অত্যন্ত কড়া একটি রিপোর্ট দিয়েছিলেন নাবালিকাদের ওই আবাসিক হোমের বিরুদ্ধে। ওই রিপোর্টে এই কথাটিও উল্লেখ করা হয়েছিল যে, এই আবাসিক হোম অবিলম্বে স্থানান্তরিত করা উচিত। কিন্তু, তদসত্ত্বেও, জেলা প্রশাসন অথবা সমাজকল্যাণ বিভাগের পক্ষ থেকে কোনওরকম ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। "আমরা অনেকবার করে মনে করিয়েও দিয়েছিলাম। কিন্তু কিছুতেই কিছু হল না",  আক্ষেপ করলেন বিহারের শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের প্রধান হরপল কৌর। গত বছরের নভেম্বরেই তিনি ওই আবাসিক হোমে পর্যবেক্ষকদের একটি দলকে পাঠিয়েছিলেন বলে জানান এনডিটিভিকে। 

এই আবাসিক হোমের মালিক ব্রজেশ ঠাকুর। যিনি অবাণিজ্যিক সংস্থা সেবা সংকল্প অওর বিকাশ সমিতির রাজনৈতিক মদতপুষ্ট প্রধান।

"আমার ওখানে গিয়ে একদমই ভালোলাগেনি। মনে হচ্ছিল, কোথাও যেন একটা গোলমাল রয়েছে", ডক্টর হরপল কৌর স্মৃতি হাতড়ে বের করে আনছিলেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মুজফফরপুরের ওই আবাসিক হোমে ঠিক কীভাবে  তেত্রিশজনের বেশি নাবালিকাকে নেশার ওষুধ খাইয়ে, জোর করে রেপ করা হত... উলঙ্গ হয়ে শুয়ে থাকতে বাধ্য করা হত...

কমিশনের ওই রিপোর্ট এনডিটিভির হাতে এসেছে। সেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, শিক্ষার পরিবেশের অবনতি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা না থাকা নিয়ে কতটা ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছিল ওই রিপোর্টটিতে।

হরপল কৌর স্মৃতিচারণ করে বলেন ঠিক কেমনভাবে ওই আবাসিক হোমের নাবালিকাদের বন্দি করে রাখা হত।

"এইভাবে আপনারা বাচ্চাদের রাখতে পারেন না... আমি প্রচণ্ড তিরস্কার করেছিলাম ওই আবাসিক হোমের কর্মীদের। এবং, স্পষ্ট ভাষায় এই কথাও জানিয়ে দিয়েছিলাম যে, এমন ভুল যেন আর কখনও না হয়", বলেন তিনি।

গত বছরের মে মাসে দায়িত্ব নেওয়া বিহারের শিশু রক্ষা কমিশনের প্যানেলের প্রধান আরও বলেন যে, তিনি ওই সময় শিশুদের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নেন।

"ওদের সঙ্গে যখন কথা বলছিলাম, তখন ঘুণাক্ষরেও টের পাইনি যে, কী ভয়াবহ জীবনের সঙ্গে লড়াই করে যেতে হচ্ছে ওই দুধের শিশুগুলিকে। আমি যখন ওদের বলেছিলাম যে, আমি তোমাদের মায়ের মতোই, তখনই তিন-চারজন বাচ্চা কাঁদতে আরম্ভ করে। কিন্তু, এত কাঁদছে কেন তারা, তার কোনও উত্তর দেয়নি। একমাত্র,  একটি মেয়েই আমাকে বলেছিল, সে আর ওই হোমে থাকতে চায় না। ওই হোম পছন্দ নয় তার", বলেন হরপল কৌর।

.