রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির সভাপতি ম্যুরার বলেছেন রাখিনের পরিস্থিতির উন্নতির জন্য আরও অনেক কাজ করা প্রয়োজন
চাকমারকুল, বাংলাদেশ: রেডক্রসের প্রধান রোববার বললেন রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মায়ানমারে নিজেদের ঘরে ফিরে আসতে চাইলেও, এই মুহূর্তে ওই দেশ তাদের পক্ষে মোটেই নিরাপদ নয়। মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের সবকটি গ্রামই এখন পরিত্যক্ত এবং ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে গিয়েছে।
বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে যাওয়ার আগে পশ্চিম মায়ানমার সফরে গিয়েছিলেন পিটার ম্যুরার। বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে, মায়ানমারের ভূখণ্ডে তাদের ওপর চলা হিংসার থেকে বাঁচতে প্রায় দশ লক্ষের কাছাকাছি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।
গত বছরের অগস্ট মাস থেকেই হাজারে হাজারে নিপীড়িত মুসলমান ওই দেশ থেকে চলে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। মায়ানমারের সেনাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে চূড়ান্তভাবে বিধ্বস্ত রাখিনে রাজ্য ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয় রোহিঙ্গারা।
রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিয়ো গুতারেজ আজ সোমবার বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করবেন। দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের ওই শিবিরে প্রায় 7,00,000 রোহিঙ্গা শরণার্থীকে মানবতার খাতিরে আশ্রয় দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রসংঘ জানিয়েছে, ঢাকাতে রোববার শেখ হাসিনার সঙ্গে রোহিঙ্গা নিয়ে আলোচনা করেন গুতারেজ, তাঁর বাংলাদেশ সফরটিকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মায়ানমারে নিরাপদে ও সম্মানের সঙ্গে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনাটিকে খতিয়ে দেখার জন্যই কাজে লাগাবেন।
যদিও, ত্রাণ সংস্থাগুলি বারবার এই বলে সতর্ক করে দিয়েছে যে, এই মুহূর্তে রাখিনের পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত যে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের ওখানে যাওয়া নিয়েও প্রবল বাধানিষেধ রয়েছে। ওই সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় মায়ানমারে এই মুহূর্তে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন কোনওভাবেই নিরাপদ নয়।
রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির সভাপতি ম্যুরার বলেছেন রাখিনের পরিস্থিতির উন্নতির জন্য আরও অনেক কাজ করা প্রয়োজন। রাখিনেতে গত কয়েকদিনের সরকারি সফরে যে অবস্থা প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি, তার ভিত্তিতেই এই মন্তব্য করেন ম্যুরার।