করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ যখন দেশে লাগাতার বাড়ছে ঠিক সেই সময়েই দেশের ধর্মীয় স্থানগুলোর দরজা খুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) পশুপতিনাথ মন্দিরে (Pashupatinath Temple) ভক্তদের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিষয়টি বিবেচনা করে একটি বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্দসৌরের এই বিখ্যাত মন্দিরে একটি সেন্সরযুক্ত ঘণ্টা বসানো হয়েছে, যাকে না ছুঁয়েই বাজানো যাবে (Contactless Bell)। করোনা ভাইরাস মহামারীর কথা মনে রেখে, পশুপতিনাথ মন্দিরের দরজায় ওই সেন্সরযুক্ত ঘণ্টা রাখা হয়েছে, আপনি মন্দিরের দরজায় পৌঁছলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেজে উঠবে এটি। ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর কোনও ঝুঁকিও থাকবে না।
দর্শকদের সেলফিতে অসুবিধা! পালানো আটকাতে সিংহশাবকের পা ভেঙে বসানো হল পার্কে
মন্দসৌরের এই মন্দিরে ওই সেন্সর বেলটি লাগিয়েছেন এক 'সমাজকর্মী' নাহরু খান। তাঁকে এই বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ছড়িয়ে পড়া রুখতেই ওই ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিজের একটি অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে ওই সমাজকর্মী বলেন, "আমি যখন ওই মন্দিরে যাই তখন সেখান থেকে বলা হয় যে মন্দিরের ঘণ্টা বা অন্যান্য জিনিস স্পর্শ করা যাবে না, ফলে ঘণ্টা বাজাতে পারিনি আমি। কিন্তু ঠিক সেই সময়েই এক মসজিদ থেকে আজানের শব্দ কানে আসায় আমার মনে হল যে, মন্দিরের ঘণ্টাধ্বনি কেন শোনা যাবে না। তাই আমি এই সেন্সর দেওয়া বেল তৈরির কাজ শুরু করি যাতে ঘণ্টাটিকে স্পর্শ না করলেও সেটি বেজে ওঠে"।
জলাশয়ের পাশে বসে জলকেলি শিম্পাঞ্জির! খাবার দিচ্ছে মাছেদের; দেখুন সেই ভিডিও
নাহরু খান জানান, ৩ দিন ধরে চেষ্টার পরে ওই বিশেষ ঘণ্টা তৈরি করতে পেরেছিলেন তিনি। তারপরই পশুপতিনাথ মন্দিরের প্রবেশদ্বারে সেটিকে ঝুলিয়ে দেন ওই সমাজকর্মী। আপনার শরীরে যেকোনও অংশ ওই ঘণ্টাটির নিচে নিয়ে গেলেই সেটি বাজতে শুরু করবে। সবচেয়ে বড় কথা এটাই দেশের মধ্যে প্রথম মন্দির যেখানে সেন্সর দেওয়া ঘণ্টা লাগানো হয়েছে।