বাংলাদেশের একটি সাত বছরের পুরনো পুলিশের বর্বরতার ভিডিও টুইট করে বিতর্ক বাড়ালেন ইমরান
নয়াদিল্লি: “মুসলমানদের উপর ভারতীয় পুলিশদের অত্যাচার” প্রমাণ করতে গিয়ে বিপাকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Pakistan Prime Minister Imran Khan)! বাংলাদেশের একটি সাত বছরের পুরনো পুলিশের বর্বরতার ভিডিও টুইট করে বিতর্ক বাড়ালেন ইমরান, পরে অবশ্য মুছে ফেলেছেন সেটি। পাকিস্তানের নানকানা সাহিবে (Nankana Sahib) শিখ ধর্মগুরু গুরু নানকের জন্ম হয়েছিল। সেখানে শিখ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার পরেই ধারাবাহিকভাবে টুইট পোস্ট করেন ইমরান এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং (Punjab Chief Minister Amarinder Singh) তাকে হিংসা থামাতে হস্তক্ষেপ করতেও আহ্বান জানান। ইমরান খানের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকেই মুসলমানদের উপর পুলিশি হিংসা দেখানো সেই ধারাবাহিক টুইটগুলি শেয়ার করা হয়েছিল। একটির ক্যাপশনে লেখা উর্দি পরা মানুষদের অত্যাচার- “ইউপি'র মুসলমানদের বিরুদ্ধে ভারতীয় পুলিশদের অত্যাচার।”
পাকিস্তানে নানকানা সাহিবের গুরুদ্বারে পাথর ছুঁড়ে হামলা, তীব্র নিন্দা ভারতের
টুইটার ব্যবহারকারীরা শীঘ্রই ইউটিউবেও এমন একটি ভিডিও খুঁজে পান, যার শিরোনাম ছিল “[গ্রাফিক] হেফাজত-এ-ইসলাম বাংলাদেশ পুলিশের বর্বরতা”, ভিডিওটি ২০১৩ সালে আপলোড করা হয়েছিল। উত্তরপ্রদেশ পুলিশও টুইটারে জবাব দিয়েছে।
পাক প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় মুসলমানদের উস্কে দেওয়ার জন্য ভুয়ো ভিডিও টুইট করছেন এমন অভিযোগ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই টুইটটি মুছে ফেলা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রকও ইমরান খানকে ভুয়ো সংবাদ দেওয়ার জন্য কটূক্তি করেছে। “ভুয়ো খবর টুইট করেছেন। ধরা পড়েছেন। টুইট মুছুন। পুনরাবৃত্তি করুন,” পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র রভীশ কুমার টুইট করেছেন, সঙ্গে হ্যাশট্যাগ “পুরানো অভ্যাস শজে মরে না।”
ভারতকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করছে সিএএ: প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
পাকিস্তান থেকে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে শুক্রবার সন্ধ্যায় নানকানা সাহিবের কয়েকশ বিক্ষুব্ধ মুসলিম বাসিন্দারা গুরুদ্বারটিকে লক্ষ্যবস্তু করেছিলেন। আকালি দলের বিধায়ক মনজিন্দর সিং সিরসার শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে বাইরে শিখবিরোধী স্লোগান দিচ্ছিল জনতা! জানা গিয়েছে তারা পরে গুরুদ্বারের দিকে পাথরও ছোঁড়েন।
অমরিন্দর সিং টুইট করেছিলেন, “গুরুদ্বার নানকানা সাহিবে আটকে থাকা ভক্তদের উদ্ধার করা হয়েছে এবং ঐতিহাসিক গুরুদ্বার আশপাশের ক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে ইমরান খানকে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানাই।”
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে অবশ্য কোনও আনুষ্ঠানিক সাড়া পাওয়া যায়নি।
নয়াদিল্লি এক বিবৃতিতে গুরুদ্বারে ভাঙচুর এবং শিখ সম্প্রদায়ের উপর হিংসার তীব্র নিন্দা করেছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গত বছরের অগাস্টে নানকানা সাহিব শহরে বাড়ি থেকে অপহরণ করে শিখ যুবতী জগজিৎ কৌরের জোর করে ধর্মান্তরের পর থেকেই সমস্যার শুরু।”
ভারতের দাবি, শিখ সম্প্রদায়ের সদস্যদের “নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং কল্যাণ” নিশ্চিত করতে পাকিস্তান সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিক। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “এর পাশাপাশি, পাকিস্তান সরকারকে পবিত্র নানকানা সাহিব গুরুদ্বার এবং এর আশেপাশের পবিত্রতা রক্ষা এবং সংরক্ষণের জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ রইল।”