This Article is From Oct 30, 2019

এসএমএইচ মির্জার জামিনের আবেদন খারিজ করল সিবিআই আদালত

Narada tapes scandal: ২০১৪-এ নারদ নিউজের তরফে স্টিং অপারেশনটি করেন এডিটর ম্যাথু স্যামুয়েল

এসএমএইচ মির্জার জামিনের আবেদন খারিজ করল সিবিআই আদালত

স্টিং অপারেশনের সময়বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপার পদে কর্মরত ছিলেন এসএমএইচ মির্জা

কলকাতা:

সাসপেন্ডেড আইপিএস এসএমএইচ (S M H Mirza) মির্জার জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। নারদ স্টিং অপারেশন (Narada Tapes Case) কাণ্ডে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আবেদনের প্রেক্ষিতে এসএমএইচ মির্জার বিচারবিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ ১৩ নভম্বর পর্যন্ত বাড়ালেন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায়। সাসপেন্ডেড আইপিএস মির্জার জামিনের আবেদন জানিয়ে, তাঁর আইনজীবী সায়ন দে সওয়াল করেন, ৩০ দিন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে ছিলেন মির্জা, এবং এই সময়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি সিবিআই। যদিও সেই যুক্তির বিরোধিতা করে সিবিআইয়ের আইনজীবী পাল্টা যুক্তি দেন, মির্জা একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং এই পর্যায়ে তাঁর জামিন মঞ্জুর হলে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

নারদ মামলায় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে আইপিএস এসএমএইচ মির্জা

২০১৪-এ নারদ নিউজের তরফে (Narada news portal) স্টিং অপারেশনটি করেন এডিটর ম্যাথু স্যামুয়েল (Mathew Samuel), সেই সময় অবিভক্ত বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপার পদে কর্মরত ছিলেন এসএমএইচ মির্জা।

চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর মির্জাকে গ্রেফতার করে সিবিআই, এরপরেই তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়, তাঁকে পাঁচদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। ৩০ সেপ্টেম্বর এসএমএইচ মির্জাকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত, এবং পরে দুবার সেই হেফাজতের মেয়াদ বৃ্দ্ধি করা হয়। 

নারদ স্টিং অপারেশন কাণ্ডে ম্যাথু স্যামুয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের

২০১৭-এ নারদ মামলায় এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। তারপরেই সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। পরে সেই সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তবে কোনও পদে নিয়োগ না করে তাঁকে “কম্পালসারি ওয়েটিং” এ রাখা হয়। নারদের ভিডিও ফুটেজে, তৃণমূলের একাধিক নেতাসহ মির্জাকে টাকা নিতে দেখা যায়। একটি সংস্থাকে ব্যবসায়ীক সুবিধা দেওয়ার পরিবর্তে সংস্থার প্রতিনিধির থেকে ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নিতে দেখা যায় তাঁকে। ভিডিওতে পাওয়া কন্ঠস্বরের নমুনার সঙ্গে তাঁর কন্ঠস্বরের নমুনা মিলে যায়।

২০১৪-এ একজন ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে স্টিং অপারেশনটি করেন ম্যাথু স্যামুয়েলস, অনেক তৃণমূল নেতাকে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে, রাজ্যে এই ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসে, তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ৫২ ঘন্টার ভিডিও ফুটেজে, ১৩জন ব্যক্তিকে মোট ৬০.৫ লক্ষ টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.