মুকুল রায় দাবি করেন, তিনি কোনও টাকা নেননি, এবং ভিডিও ফুটেজে তাঁকে টাকা নিতে দেখা য়ায়নি।
কলকাতা: নারদকাণ্ডে (Narada Scam) ইতিমধ্যেই আইপিএস এসএমএইচ মির্জাকে (SMH Mirza) গ্রেফতার করেছে সিবিআই, নারদ স্টিং অপারেশনকাণ্ডে তিনিই প্রথম গ্রেফতার। রবিবার তাঁকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে (Mukul Roy) জিজ্ঞাসাবাদ চালাল সিবিআই। রবিবার সকালে, দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে এই বিজেপি নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই আধিকারিকরা জানান, “অপরাধের ধরণ পুনর্গঠন করতে” এদিন মুকুল রায়ের বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবদ করা হয়। এসএমএইচ মির্জা এবং মুকুল রায়কে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ পুরোটাই ভিডিও রেকর্ড করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। শনিবার নিজাম প্যালেসে কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতরে প্রায় তিনঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মুকুল রায়কে।
নারদ মামলায় শুক্রবার মুকুল রায়কে তলব সিবিআইয়ের
২০১৪-নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিওটি শ্যুট করার সময়, অবিভক্ত বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন এসএমএইচ মির্জা। আধিকারিকরা জানান, তাঁর বিরুদ্ধে “বিশাল অঙ্কের” নগদ টাকা নিয়ে মুকুল রায়কে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। গত সপ্তাহে এসএসএইচ মির্জাকে গ্রেফতার করা হয়, তাঁকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে রাখা হয়েছে।
নারদ মামলায় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে আইপিএস এসএমএইচ মির্জা
২০১৭-এ নারদ মামলায় এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। তারপরেই সাসপেন্ড করা হয় এসএমএইচ মির্জাকে। পরে সেই সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তবে কোনও পদে নিয়োগ না করে তাঁকে “কম্পালসারি ওয়েটিং” এ রাখা হয়। নারদের ভিডিও ফুটেজে, তৃণমূলের একাধিক নেতাসহ মির্জাকে টাকা নিতে দেখা যায়। একটি সংস্থাকে ব্যবসায়ীক সুবিধা দেওয়ার পরিবর্তে সংস্থার প্রতিনিধির থেকে ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নিতে দেখা যায় তাঁকে। ভিডিওতে পাওয়া কন্ঠস্বরের নমুনার সঙ্গে তাঁর কন্ঠস্বরের নমুনা মিলে যায়।
নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিওতে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল, ৬জন তৃণমূল সাংসদ, চারজন রাজ্যের মন্ত্রী এবং বিধায়ককে। নারদ ভিডিওতে যাঁদের টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, সৌগত রায়, শুভেন্দু অধিকারী, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়. কাকলি ঘোষ দস্তিদার, এবং অপরূপা পোদ্দার। আরেক অভিযুক্ত, সুলতান আহমেদের মৃত্যু হয়েছে।
সেই সময় টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল মুকুল রায়কে, তবে তখন তৃণমূল সাংসদ ছিলেন তিনি। এক আধিকারিক জানান, এদিনের জেরার পুরো বিষয়টি তাঁকে জানানো হয়েছিল।
মুকুল রায় দাবি করেন, তিনি কোনও টাকা নেননি, এবং ভিডিও ফুটেজে তাঁকে টাকা নিতে দেখা য়ায়নি। তাঁর কথায়, “না আমি কোনও টাকা নিয়েছি, না আমায় টাকার অফার দেওয়া হয়েছিল...আমার কাছে যে ব্যক্তি ব্যবসায়ী রূপে এসেছিলেন, তাঁর জমি নিয়ে সমস্যার বিষয়ে আমি মির্জার সঙ্গে কথা বলতে বলেছিলাম”।