প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোনে কথোপকথন হয় বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে
নয়াদিল্লি: ইন্দো-চিন সীমান্তে (India-China Border) উত্তেজনা নিয়ে মঙ্গলবার আলোচনা সারলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (US President Donald Trump), এছাড়াও সেদেশে পুলিশ হেফাজতে এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর কারণে তৈরি হওয়া অশান্তি এবপং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় দুই নেতার মধ্যে, সরকারের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, আগামী জি ৭ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন মুলুকে, সেখানে যোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, “বর্তমান সদস্যদের বাইরে সদস্য সংখ্যা বা গোষ্ঠী বাড়ানোর ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যাতে ভারত সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দেশকে অন্তভুর্ক্ত করা যায়”।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সম্প্রতি আমেরিকায় অশান্তি, নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার সমাধানে দ্রুত উপায় বের করার শুভ কামনা জানিয়েছেন”।
পূর্ব লাদাখে ভারত ও চিনেরা সেনার মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তেজনা নিয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে, তা বিশদে জানানো হয়নি ওই বিবৃতিতে। আমেরিকার তরফে সোমবার জানানো হয়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিনের আগ্রাসন নিয়ে “খুবই উদ্বেগ” তারা।
আমেরিকার হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভের বিদেশমন্ত্রক বিষয়ক প্রধান ইলিয়ট অ্যাঞ্জেল বলেন, “আমি কঠোরভাবে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা মেটাতে, চিনকে নিয়ম, কূটনীতি ও বর্তমান প্রক্রিয়া মানতে বলছি”।
ভারতের তরফে বলা হয়েছে, লাদাখ ও সিকিমে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনাবাহিনীর টহরদারীতে বাধা দিচ্ছে চিনা সেনা, পাশাপাশি চিন সীমান্তে ভারতীয় সেনার প্রবেশের জন্যই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে বলে যে যুক্তি খাড়া করেছে বেজিং, তাও খারিজ করে দিয়েছে নয়াদিল্লি।
ডোকালামের পর,ভারত ও চিনের মধ্যে এটি সবচেয়ে গুরুতর ইস্যু, পূর্ব হিমালয় এলাকার এই সীমান্তটিকে নিয়ে দুই দেশের উত্তেজনা তিনমাস চলেছিল ২০১৭ সালে।
সরকারের তরফে জারি করা বিবৃ়তিতে আরও বলা হয়েছে, “দুই দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি...বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংস্কার মতো ইস্যুগুলি নিয়েও আলোচনা হয়” দুই রাষ্ট্রপ্রধানের।