গরিবদের লুঠ করল যারা, তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, তোপ মোদীর।
ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ি: শুক্রবার বাংলায় সভা করতে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মমতার ১৯ জানুয়ারির সভায় সমস্ত বিরোধী দলের উপস্থিতিকেও তীব্র ব্যঙ্গে ভরিয়ে দেন আজ মোদী। জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে সভা করে মোদী বলেন, গরিব মানুষদের লুঠ করে নিয়েছে যে চোরেরা, তাদের বাঁচাতে ধর্নায় বসেছেন মমতা। প্রসঙ্গত, গত রবিবার কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানার ‘প্রতিবাদে' ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে টানা ৪০ ঘন্টার ধর্না করেন মমতা। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির বিধায়ক ও সাংসদের মোট সংখ্যা দুই। একজন বিধায়ক আলিপুরদুয়ারে। আরেকজন সাংসদ দার্জিলিং-এর। এছাড়া, উত্তরবঙ্গের আরও বেশ কিছু জায়গাতেই হাওয়া বিজেপির দিকে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, হাওয়া বুঝেই ময়নাগুড়িতে সভার বন্দোবস্ত করেন নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুনঃ "রানি লক্ষ্মীবাই নয়, ওঁ তো পুতনা রাক্ষসী", কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আক্রমণ মমতাকে
এই বছরের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে এই রাজ্যের লড়াই ‘অ্যাসিড টেস্ট' বলে মনে করছেন অনেকেই। অমিত শাহ এর আগেই রাজ্যের ৪২'টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ২৩'টি-তে জেতার লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছিলেন দলীয় কর্মীদের জন্য। তার ফলেই পশ্চিমবঙ্গে সভা করতে আসছেন একের পর এক জাতীয় স্তরের বিজেপি নেতা। প্রধানমন্ত্রী নিজেই এক সপ্তাহের মধ্যে ৩'টি সভা করলেন এই রাজ্যে। এছাড়া, সভা করেছেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ, যোগী আদিত্যনাথরাও।
মমতাকে আক্রমণ করতে গিয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের উদাহরণও দেন মোদী। তিনি বলেন, এই বাংলা থেকেই নেতাজি লড়েছিলেন দেশের একতার স্বার্থে। ওদিকে দেখুন, এই বাংলা থেকেই আরেকজন লড়াই করছেন কাদের জন্য, যাঁরা গরিব মানুষদের লুঠপাট করে খেয়েছে, তাদের জন্য। ভাবুন!
তিনি আরও বলেন, আপনারা তদন্ত নিয়ে এত ভয় পাচ্ছেন কেন? কোনও দোষ করে না থাকলে সিবিআইকে দেখলেই রেগে যাচ্ছেন কেন? আমি আজ এখানে দাঁড়িয়ে কথা দিচ্ছি, চিটফান্ড কেলেঙ্কারীতে সর্বস্বান্ত হয়ে যাওয়া প্রতিটি মানুষ বিচার পাবেন। জেনে রাখুন, যে রকমই পরিস্থিতি হোক না কেন, যারা অপরাধ করেছে এবং যারা তাদের বাঁচাতে চাইছে, চৌকিদার তাদের কাউকে ছাড়বে না!