প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ট্যুইট করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর
কলকাতা: বুধবার নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে দ্বিতীবার ক্ষমতায় আসার পর, এই প্রথমবার, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি। এদিনের বৈঠকের পর, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বললেন, “শুভবুদ্ধি”র উদয় হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ট্যুইট করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। এর আগে ২০১৮-এ মে মাসে শান্তিনিকেতনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমঞ্চে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনে নীতি আয়োগের বৈঠকেও যোগ দেননি মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকের (PM-Mamata meeting) পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি, সৌজন্য হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের নাম পরিবর্তনের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, “এটা ভাল যে, অবশেষে তাঁর শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। সিবিআইয়ের থেকে নিজেকে এবং দলকে বাঁচানোর তাঁর প্রয়াসে কোনও ফল হবে না। আইন তার নিজের পথে চলবে, এবং যারা জনগণের টাকা লুঠ করেছে, অথবা যারা দোষীদের প্রশয় দিয়েছে, তাদের কারাগারের ভিতরে থাকতে হবে”।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা, সৌজন্য বিনিময় মুখ্যমন্ত্রীর
চিটফান্ড সংস্থাগুলির তদন্ত চালাচ্ছে তদন্তকারীসংস্থা, হাজার হাজার আমানতকারীদের থেকে উচ্চহারে ফেরৎ এর প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ-এর অভিযোগ উঠেছে চিটফান্ড সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা বলেন, যখন রাজীব কুমারকে সিবিআই গ্রেফতারের পথে, সেই সময় অমিত শাহের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের ইচ্ছেই প্রমাণ করে, রাজীব কুমারকে বাঁচাতে কতটা মরিয়া তিনি। এক বিজেপি নেতা বলেন, “যেহেতু রাজীব কুমারের গ্রেফতারি আসন্ন, তিনি মরিয়া উঠেছেন এবং যে কোনও দূরত্বে যেতে প্রস্তুত। সেই কারণেই তিনি অমিত শাহজীর সঙ্গে বৈঠক করতে চান, তবে এতে কোনও ফল হবে না”।
রাজীব কুমারকে বাঁচাতেই মরিয়া হয়ে মোদি সাক্ষাৎ-এ মমতা, কটাক্ষ কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের
সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তে রাজ্য সরকার গঠিত সিট বা বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান ছিলেন রাজীব কুমার। এই মামলায় নাম সিবিআইয়ের আতস কাঁচের তলায় কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার। ১৩ সেপ্টেম্বর রাজীব কুমারের গ্রেফতারি থেকে সুরক্ষা প্রত্যাহার করে নেয় কলকাতা হাইকোর্ট, তারপর, তাঁকে হাজিরার জন্য সিবিআই নোটিশ পাঠালেও, হাজিরা এড়িয়েছেন রাজীব কুমার।
মঙ্গলবার, বিজেপির জাতীয় সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, রাজীব কুমারকে বাঁচাতে মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কারণ তিনি জানেন, রাজীব কুমারের গ্রেফতারিতে তাঁর মন্ত্রিসভার অর্ধেকজন জেলে চলে যাবে।
রাজীব কুমারের খোঁজে বিশেষ দল তৈরি করল সিবিআই: সূত্র
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীও। তিনি বলেন, “কেন্দ্রের আগের ডাকা বৈঠকগুলিতে তিনি হাজির হননি। তাহলে হঠাৎ করে কী এমন জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হল যে, তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে হল, এবং হঠাৎ করে এখন অমিত শাহের সঙ্গেও বৈঠক করতে চাইছেন? সুতরাং, এটা যে কেউ বুঝতে পারবে, যে তিনি কী চাইছেন”।
অধীর চৌধুরীর সুরেই একই কথা বলেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও।
রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, এটি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে বৈঠক।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)