This Article is From Jan 27, 2019

নিজেদের দুর্নীতিগুলো নিয়ে ভয় আছে বলেই ওরা একসঙ্গে, বিরোধীদের তোপ মোদীর

রবিবার অমিত শাহের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি শোনা গেল নরেন্দ্র মোদীর মুখে। তিনি বলেন, বিরোধীরা নিজেদের আখের গোছানোর লক্ষ্যেই জোটটা করেছে।

নির্বাচন ২০১৯ঃ প্রধানমন্ত্রী বলেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপি সরকারের কড়া পদক্ষেপ দুর্নীতিগ্রস্থ রাজনীতিবিদদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে।

নিউ দিল্লি:

বিরোধীদের একসঙ্গে লড়তে চাওয়ার নেপথ্যের একটি বড় কারণ হল, দুর্নীতি। এবং, এটিই মূল কারণ। ওঁদের আসল ভয় হল, দুর্নীতিতে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে যাওয়ার ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে কোনওভাবে ধরা যেন না পড়তে হয়। গত সপ্তাহে ১৯ জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে ব্রিগেডে অনুষ্ঠিত হয় বিরোধী মেগা জনসভা। যেখানে অন্তত ২৩'টি রাজনৈতিক দলের প্রধান অথবা অন্যতম প্রধান মুখ উপস্থিত ছিলেন। ওই সভা থেকেই হাতে হাত মিলিয়ে বিরোধ দলগুলি কেন্দ্রের তখত থেকে বিজেপিকে সরানোর আহ্বান জানায়। যদিও, বিজেপি এর আগে একাধিকবার বিরোধীদের মধ্যে ‘একতার অভাব' আছে বলে পরিহাস করে গিয়েছে। গত সপ্তাহেই বিজেপির জাতীয় সভাপতি অমিত শাহ বলেন, বিরোধীদের তো ৯ জন প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী! কে প্রধানমন্ত্রী হবেন বিরোধীরা ক্ষমতায় এলে?

আরও পড়ুনঃ সরিয়ে দেওয়া হল ছন্দা কোছর ও ভিডিওকন কর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো সিবিআই অফিসারকে

রবিবার অমিত শাহের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি শোনা গেল নরেন্দ্র মোদীর মুখে। তিনি বলেন, বিরোধীরা নিজেদের আখের গোছানোর লক্ষ্যেই জোটটা করেছে। তাঁর কথায়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপি সরকারের কড়া পদক্ষেপ দুর্নীতিগ্রস্থ রাজনীতিবিদদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে।

“যারা এর আগে সহজেই সরকারি কাগজপত্রে জরুরি চুক্তি করে নিত, প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে মানবকল্যাণ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে গুরত্বপূর্ণ সব চুক্তি করে ফেলত নিমেষে, এখন তারা হাওয়া খারাপ বুঝে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। বিরোধী দলগুলি প্রায় সবাই এই দোষে দুষ্ট। তাই সব দুর্নীতিগ্রস্থরা মিলে এক জায়গায় হয়েছে”, মাদুরাইয়ের জনসভায় বিরোধীদের বিরদ্ধে এই কথাগুলি বলে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী।   

.