ক্রিস্টিনা কোচ অ্যান্ড সেজিকা মেয়ার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে
আন্তর্জাতিক স্পেস সেন্টারের বাইরে পা রেখে মানব ইতিহাসে অনন্য নজির গড়ল নাসা-র দুই নভোশ্চর ক্রিশ্চিনা কোচ আর জেসিকা মেয়ার। এই প্রথম ব্যাটারি চালিত পোশাক ছাড়াই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের বাইরে পা রাখলেন কোনও নভশ্চর। খবর, ব্যাটারির চার্জ কমে যাওয়ায় তাঁরা রিচার্জ করতেই বাইরে বেরিয়েছিলেন এবং সেই সময় ক্রিশ্চিনার জ্যাকেটে লাল টেথের যোগ করে নেওয়া হয়েছিল।
২০২০ সালে পাকিস্তানের ‘কালো' তালিকাভুক্ত হওয়ার ‘‘প্রবল সম্ভাবনা'': FATF
নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে শুক্রবার সকাল ৭.৩৮ মিনিটে ভাসমান অবস্থায় স্পেসওয়াক শুরু করেন কোচ। ৭.৪৯ মিনিটে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে শূন্যে পা রাখেন মেয়ার। সাধারণত ভাসমান অবস্থায় মহাশূন্যে এই স্পেসওয়াকের সময় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা। কিন্তু দুই নভোশ্চয় সাফল্যএর সঙ্গে প্রায় সাত ঘণ্টা শূন্যে কাটান। দুই মহিলা নভশ্চরের এই অনন্য কীর্তি ইতিমধ্যেই চমকে দিয়েছে বিশ্বেকে।একই সঙ্গে নাসার পক্ষ থেকে সোশ্যালে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, নীল আর্মস্ট্রং, ক্যাথরিন ক্লার্ক, ডি-মাসের পর এমন অনন্য নজির গড়লেন দুই মহিলা মহাকাশচারী। এতে গৌরবান্বিত হল নারীশক্তি।
স্পেসওয়াকের আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন নাসা প্রধান জিম ব্রিডেনস্টাইন। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে আরও পুরুষ ও প্রথম মহিলা মহাকাশচারীকে চাঁদে পাঠাবে নাসা। তার আগে এই স্পেসওয়াক মহাশূন্যে যাওয়াকে যেন আরও সহজতর করে তুলল। প্রসঙ্গত, এর আগে ১৫ জন মহিলা স্পেসওয়াক করেছেন। তাঁদের মধ্যে ১৪ জন আমেরিকান।
মৃত্যু কোরিয়ার পপ তারকার, পুলিশের সন্দেহ আত্মহত্যা
নাসার হিউম্যান এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড অপারেশনসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান কেন বোয়ারসক্স শুক্রবার ফোনে জানান, ভবিষ্যতে এই দুই মহিলা মহাকাশচারীর রোজের রুটিনে পরিণত হবে।
মহাকাশচারী হওয়ার আগে, ক্রিশ্চিনা কোচ নাসার গড্ডার্ড স্পেসফ্লাইট সেন্টারের ইলেকট্রিকাল ইন্জিনিয়ার ছিলেন। পরে তিনি মার্কিন অ্যান্টার্কটিক প্রোগ্রামের একটি গবেষণার সহকারী হয়ে ওঠেন। এর জন্য তাঁকে দক্ষিণ মেরুতে কাটাতে হয়েছিল একবছর।
অন্যদিকে, মেয়ার ছিলেন বিজ্ঞানী। সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানে ডক্টরেট করেছেন তিনি। এর আগে নাসার হয়ে অন্যান্য বিষয়ে কাজের পাশাপাশি পড়াশোনা করেছেন প্রাণীবিদ্যা নিয়ে।