নাসিরউদ্দিন শাহ এবং আমির খানকে ‘বিশ্বাসঘাতক' বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের বরিষ্ঠ নেতা ইন্দ্রেশ কুমার। সোমবার আলিগড়ের জনসভায় ইন্দ্রেশ কুমার বলেন, “তাঁরা ভালো অভিনেতা হতে পারেন কিন্তু তাঁরা বিশ্বাসঘাতক, তাঁরা সম্মান পাওয়ার যোগ্য নন। ওঁরা মীরজাফর ও জয়চন্দের মতো।” কংগ্রেসের নেতা নভজোৎ সিং সিধুকেও আক্রমণ করেছেন এই নেতা। এই প্রথমবার অবশ্য নাসিরউদ্দিন শাহকে সংঘ পরিবারের আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয়েছে এমন নয়। বুলন্দশহরের গণহিংসায় ইন্সপেক্টর সুবোধ কুমার সিংকে হত্যার পর নাসিরউদ্দিন বলেছিলেন, এই দেশে এখন পুলিশের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে গরুকে। এই মন্তব্যের পরেই আরএসএস ও বিজেপির নেতারা বর্ষীয়াণ অভিনেতাকে ‘দেশদ্রোহী' বলে অভিহিত করেন।
তৃণমূলের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য ঠাকুরনগরে বদলে গেল নরেন্দ্র মোদীর সভাস্থল
উত্তরপ্রদেশের বিজেপির প্রধান মহেন্দ্রনাথ পান্ডে বলেন, “তাঁর একটি সিনেমায় নাসিরউদ্দিন একজন পাকিস্তানি এজেন্টের ভূমিকায় অভিনয় করেন। আমি মনে করি তিনি এখন ওই চরিত্রের মতোই হয়ে উঠছেন।” মহেন্দ্রনাথ ১৯৯৯ সালের বলিউডের চলচ্চিত্র সরফরোশের কথা উল্লেখ করেছিলেন। এই সিনেমায় নাসিরউদ্দিন শাহ পাকিস্তানের গুপ্তচরের ভূমিকা পালন করেন।
এনআরসি নিয়ে গিমিক করছে বিজেপি, নির্বাচনী গিমিক, তোপ দাগলেন মমতা
আরএসএসের এই নেতা জানান, ভারতের এখন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের মতো মুসলমানদের প্রয়োজন, ২৬/১১/ হামলার পরে জীবিত ধরা পড়া সন্ত্রাসবাদী আজমল কাসভের মতো নয়। ইন্দ্রেশ বলেন, “ভারতের কাসভ, ইয়াকুব এবং ইশরাত জাহানের মতো মুসলিম যুবকদের দরকার নেই বরং কালামের দেখানো পথই প্রয়োজন। কাসাবের পথে যারাই হাঁটবে তাঁরা বিশ্বাসঘাতক হিসাবেই বিবেচিত হবে।” ইন্দ্রেশ কুমার আরও অভিযোগ করেছেন যে, কংগ্রেস, বাম দল, সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং কয়েকজন বিচারক অযোধ্যা মামলার শুনানি বিলম্বিত করার জন্য দায়ী।