২২ মার্চ, ২০২০। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ডাকে গোটা দেশ কাঁসর, শাঁখের আওয়াজে বরণ করেছিল জরুরি পরিষেবায় যুক্ত কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমকে। নির্দেশ অগ্রাহ্য করে পথে নেমে ব্যান্ড বাজাতে দেখা গেছিল সাধারণ মানুষের সঙ্গে বহু প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদেরও। সেই ঘটনার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক-অভিনেতা অপর্ণা সেন (Aparna Sen)। টুইটে বলেছিলেন, একটা কণ্ঠস্বর যদি লাখো ভারতবাসীকে নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে করতালিতে মুখর করতে পারে, উত্তর-পূর্ব দিল্লি যখন হিংসার আগুনে পুড়েছে আশ্চর্যজনক ভাবে কেন সেই কণ্ঠস্বর নীরব ছিল? নাম না করে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সেসময়েও তিনি যদি এভাবে মুখর হতেন তাহলে বোধহয় এত লোকের অকারণ মৃত্যুর সাক্ষ্মী হত না দেশ।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর ফের অনুরোধ, ৫ এপ্রিল রাত ৯টায় ৯ মিনিটের জন্য আলো বন্ধ (Dark Times) রেখে বাড়িতে, বারান্দায় দাড়িয়ে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মোমবাতি, টর্চ, প্রদীপ, মোবাইল জ্বালিয়ে রাখার। এতে দেশ ঐক্যবদ্ধ হবে দুর্দিনে। আলোর শক্তিতে পরাজিত হবে ভাইরাস। মোদির এই ঘোষণা নিয়ে যেমন মিম ছড়িয়েছে সোশ্যালে, কটাক্ষ করেছেন বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এবং বিরোধী দল। সেই তালিকায় ফের নাম উঠল অপর্ণা সেনের। ফেসবুকে সোচ্চার তাঁর প্রতিবাদী পোস্ট, 'আমার বাড়িতে ৫ তারিখ লাইট বন্ধ থাকবে না....আমাদের এখন বাড়ি, দেশ অন্ধকার করার সময় নয়, মানবজাতির এই অন্ধকার সময়ে আরো একটা সূর্য চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর কাছে আবেদন করেছেন যেন তারা আগামী ৫ তারিখ করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে এই লড়াইকে সমর্থন জানিয়ে বাড়ির আলো নিভিয়ে রাখেন। আমাদের প্রশ্ন কেন করবো এটা?......'
বিশ্বের পরিস্থিতি, দেশের দু'র্দিন, সাধারণ মানুষের দুর্দশায় উদ্বিগ্ন পরিচালক আবৃত্তি করেছেন শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের লেখা কবিতা 'সে বড় সুখের সময় নয়....'
কী করে এগিয়ে যাবে দেশ, বিশ্ব, মানব সভ্যতা? কবিতা পাঠের মধ্যে দিয়ে তিনি বর্তমান পরিস্থিতিকে তুলে ধরতে চেয়েছেন অনুরাগীদের কাছে।