This Article is From Jul 30, 2020

পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষায় পঠনপাঠন আবশ্যিক, ১০ তথ্যে দেখুন নতুন শিক্ষা নীতি

, আগের মতোই দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীতে বোর্ড পরীক্ষা হবে। এই পরীক্ষার মূল্যায়নে পরখ নামে নতুন পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করা হবে

পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষায় পঠনপাঠন আবশ্যিক, ১০ তথ্যে দেখুন নতুন শিক্ষা নীতি

প্রায় তিন দশক পর গৃহীত হল নতুন শিক্ষা নীতি।

নয়াদিল্লি: জাতীয় শিক্ষা নীতিতে বড়সড় বদল আনলো কেন্দ্রীয় সরকার। পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পঠনপাঠনে মাতৃভাষা কিংবা স্থানীয় ভাষাকে শিক্ষা প্রদানের মাধ্যম করতে হবে। এমনটাই উল্লেখ নতুন খসড়ায়। পাশাপাশি সর্বশিক্ষা অভিযানে সংস্কার আনতে তিন থেকে ১৮ বছর বয়সীদের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে ১৯৮৬ সালে জাতীয় শিক্ষা নীতিতে এই বিপুল সংস্কার আনা হয়েছিল। এমনকী, ষষ্ঠ শ্রেণীর পড়ুয়াদের শিক্ষানবিশ হিসেবে বৃত্তিমূলক শিক্ষার পাঠ দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছে এই শিক্ষা নীতি। ১০+২ স্কুল শিক্ষায় বদল এনে চার বছরের স্নাতক পাঠে জোর দেওয়া হয়েছে। এই নতুন শিক্ষা নীতিতে স্কুলছুট প্রায় দু'কোটি পড়ুয়া ফের স্কুলে ফিরবে। এমনটাই দাবি শিক্ষা মন্ত্রকের।

এখানে রইল ১০'টি তথ্য:

  1.  পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত মাতৃভাষা কিংবা স্থানীয় ভাষায় পঠনপাঠন আবশ্যিক। প্রতি পর্যায়ে সংস্কৃত পাঠ করানো হবে মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে। থাকবে বিদেশী ভাষার চর্চাও। 
     

  2. এই খসড়া নিয়ে একসময় উত্তাল হয়েছিল দক্ষিণ ভারতের রাজনীতি। অভিযোগ ছিল, জোর করে হিন্দি চাপাতে চাইছে কেন্দ্র
     

  3.  ১০+২ শিক্ষাব্যবস্থাকে ৫+৩+৩+৪-এ ভাগ করা হয়েছে। ১২ বছরের এই স্কুল জীবনে প্রি-স্কুল হিসেবে আরও তিন বছর যুক্ত হয়েছে। একে বলছে অঙ্গনওয়াড়ি ধাপ
     

  4. প্রতি বছরের বদলে এবার থেকে তৃতীয়, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতে শুধু বার্ষিক পরীক্ষা দিতে হবে। বাকি শ্রেনিতে পাসের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ দক্ষতা ও বুদ্ধির বিকাশ নির্ভর হবে
     

  5. তবে, আগের মতোই দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীতে বোর্ড পরীক্ষা হবে। এই পরীক্ষার মূল্যায়নে পরখ নামে নতুন পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করা হবে
     

  6. পাঠক্রমের চাপ কমিয়ে পড়ুয়াদের সুশৃঙ্খল ও বহুভাষিক হিসেবে গড়ে তুলতে এই উদ্যোগ
     

  7. এই শিক্ষা নীতির খসড়ায় বলা আইআইটি গুলো প্রয়োজনে আগামি ২০ বছরের মধ্যে কলা বিভাগকে পঠনপাঠনের অন্তর্ভুক্ত করতে পারে
     

  8. সর্বাধিক চার বছরের স্নাতকোত্তর পাঠ থাকলেও, এক বা দু'বছরের মাথায় উচ্চশিক্ষায় ইতি টানতে পারেন পড়ুয়ারা। সেক্ষেত্রে এক বছরে বৃত্তিমূলক সার্টিফিকেট আর দু'বছরে ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট পাবেন তারা। এমফিল কোর্স অনিয়মিত করা হবে
     

  9.  কেন্দ্রীয় ভাবে উচ্চ শিক্ষা পর্ষদ গড়া হবে। যারা উচ্চ শিক্ষার বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করবে। আইন ও মেডিক্যাল কলেজের বিষয়ে মধ্যস্থতা করতে পারবে এই পর্ষদ
     

  10. চারটি ধাপে কাজ করবে এই পর্ষদ



Post a comment
.