কাগজকে জড়িয়ে গান্ধীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে বিজেপি।
হাইলাইটস
- ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকাকে এখনই তাদের দপ্তর ছাড়তে হবে না
- এর আগে দিল্লি হাইকোর্ট সংবাদপত্রের দপ্তর খালি করার নির্দেশ দেয়
- কেন্দ্র জানায় গত দশ বছর ধরে ওই বাড়িতে কাগজ ছাপার কাজ হয় না
নিউ দিল্লি: কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্কিত ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) পত্রিকাকে এখনই তাদের দপ্তর ছাড়তে হবে না। এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এর আগে দিল্লি হাইকোর্ট সংবাদপত্রের দপ্তর খালি করার নির্দেশ দেয়। সেটিকে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করে ন্যাশনাল হেরাল্ডের প্রকাশনা সংস্থা অ্যাসোশিয়েটেড জার্নাল। গত বছর অক্টোবর মাসে রাজধানীর আইটিও এলাকার এই বাড়িটির লাইসেন্স বাতিল করে দেয় প্রশাসন। সেই তখন থেকে আদালতে মামলা চলছে। দিল্লি আদালতের পর সুপ্রিম কোর্টেও কেন্দ্র জানায় গত দশ বছর ধরে ওই বাড়িতে কাগজ ছাপার কাজ হয় না। অন্য কোনও কাজ হয় না। লাইসেন্স ধরে রাখতে গেলে এই শর্ত পালন না করলেই নয়।
দিল্লি হাইকোর্টে সংস্থা দপ্তর খালি করার নির্দেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানায়। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। এরপর মামলাটি আসে সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানান, এখানে মামলার মূল আলোচ্য বিষয় অন্য। শেয়ার হস্তান্তর হলে লাইসেন্সেরও হস্তান্তর হয় কি না সেটাই বিচার করে দেখতে হবে।
আরও পড়ুনঃ আদবানীর মতো মহান মানুষ বিজেপিকে শক্তিশালী করেছেন গর্ব হচ্ছেঃ মোদী
গত বছরের ২১ ডিসেম্বর দিল্লি হাইকোর্ট ন্যাশনাল হেরাল্ডকে দপ্তর খালি করার নির্দেশ দেন। বলে দু' সপ্তাহের দপ্তর খালি করে না দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মানে প্রশাসনের তরফ থেকে বাড়ি খালি করে দেওয়া হবে। এরই মাঝে শীর্ষ আদালতে আসে মামলা।
এই কাগজকে জড়িয়ে গান্ধীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণম স্বামী। আদতে ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার পথ চলা শুরু করেছিলেন জওহরলাল নেহরু। ২০০৮ সালে ঋণের কারণে অ্যাসোশিয়েটেড জার্নাল নিজেদের দৈন্দদিন কাজকর্ম বন্ধ করে দেয়। বিজেপির দাবি নিজেদের পার্টি ফান্ডকে ব্যবহার করে ধার মিটিয়েছে কংগ্রেস। সংস্থার কাছে অন্য ব্যবসা থেকে আয় হওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা থাকা সত্ত্বেও টাকা মিটিয়েছে কংগ্রেস। গত নভেম্বর মাসে সংস্থার তরফে টুইট করে বলা হয় বিজেপিকে তাদের নিশানা করছে।