কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরাও তাঁদের রাজ্যে এনপিআর কার্যকর করতে দেবেন না।
New Delhi: সোমবার দিল্লিতে আয়োজিত ২০টি বিরোধী দলের বৈঠকে (Opposition Meeting) সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, যে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা এনআরসি (NRC) কার্যকর করতে দিতে চান না, তাঁরা তাঁদের রাজ্যে এনপিআরও (NPR) করতে দেবেন না। বলা হচ্ছে, এনআরসির প্রথম ধাপ হল এনপিআর। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল এনপিআরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরাও তাঁদের রাজ্যে এনপিআর কার্যকর করতে দেবেন না। সোমবারের সিদ্ধান্তের ফলে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক এভং অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএস জগন্মোহন রেড্ডির মতো বিজেপির জোটসঙ্গীদের কাছে চ্যালেঞ্জের পরিস্থিতি তৈরি হল। কেননা এই তিনজন বিজেপি ও কংগ্রেসের থেকে সমদূরত্ব রেখে চলার পক্ষপাতী।
প্রধানমন্ত্রীকে যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে সাক্ষাতের চ্যালেঞ্জ রাহুল গান্ধির
মনে করা হচ্ছে দেশব্যাপী এনপিআর চালু করার মাধ্যমেই ভবিষ্যতে এনআরসি করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসির মাধ্যমে দেশ থেকে অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের তাড়ানো হবে। কিন্তু সমালোচকরা মনে করছেন, এনআরসির মাধ্যমে দেশ থেকে মুসলিমদের তাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ ও প্রস্তাবিত এনআরসির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে শুরু হওয়া প্রবল বিক্ষোভের পরে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়ে দিয়েছেন, দেশব্যাপীর এনআরসির ব্যাপারে কোনও কথাই হয়নি।
পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে বাহিনী কেন? দিল্লি পুলিশের থেকে কৈফিয়ত তলব সংসদীয় কমিটির
গত মাসে বিরোধী দলের নেতাদের মতো নবীন পট্টনায়েক ও জগন্মোহন রেড্ডিও জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা তাঁদের রাজ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি কার্যকর করতে দেবেন না। কিন্তু এনপিআর নিয়ে তাঁরা কোনও কথা বলেননি।
নীতীশ কুমার সিএএ নিয়ে দু'বার দু'রকম মতামত জানিয়েছেন। সংসদে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল পেশ করা হলে তাকে সমর্থন করেন নীতীশ, কিন্তু পরে দলের বহু বর্ষীয়ান নেতার চাপে পড়ে তিনি জানান, বিহারে তিনি এনআরসি করতে দেবেন না।
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত মাসেই এনপিআর সংক্রান্ত কাজকর্ম রাজ্যে না করার নির্দেশ দিয়ে দেন। তিনি জানিয়ে দেন, বিজেপি এই রাজ্যে যদি এনআরসি করতে চায়, তাহলে তাঁর মৃতদেহের উপর দিয়ে করতে হবে।
এদিকে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন কেবল এনপিআর কেরলে বন্ধ করেই ক্ষান্ত হননি। তিনি ১১টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে অনুরোধ করেন, তাঁরাও যেন তাঁদের রাজ্যে এটি কার্যকর করতে না দেন।