This Article is From Sep 30, 2019

এনআরসি নিয়ে হিন্দু, ভারতীয় মুসলিমদের চিন্তার কোনও কারণ নেই, বললেন দিলীপ ঘোষ

রাজ্যে ক্ষমতায় এলে, জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসি কার্যকরা করা হবে বলে একাধিকবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেতারা

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from PTI)

দিলীপ ঘোষ বললেন, শুধুমাত্র অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতেই এই পদক্ষেপ। (প্রতীকি ছবি)

কলকাতা:

অসমে এনআরসি (Assam NRC) হওয়ার পর থেকেই, এরাজ্যে এনআরসি নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। সোমবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বললেন, এনআরসি (NRC) নিয়ে হিন্দু এবং ভারতীয় মুসলিমদের চিন্তার কোনও কারণ নেই, শুধুমাত্র অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতেই এই পদক্ষেপ। রাজ্যে ক্ষমতায় এলে, জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসি কার্যকরা করা হবে বলে একাধিকবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেতারা, ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক, তারমধ্যেই এই মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতির। তার প্রস্তুতি হিসেবে, ইতিমধ্যেই, পুরসভাসহ বিভিন্ন সরকারি দফতরে গিয়ে জন্ম শংসাপত্র খুঁজতে শুরু করেছেন অনেকেই। যদিও তৃণমূল আশ্বাস দিয়েছে, বাংলায় এনআরসি কার্যকরা করতে দেওয়া হবে না।

দেশজুড়ে এনআরসি করা হবে, জানালেন অমিত শাহ

বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “এনআরসি নিয়ে হিন্দু এবং ভারতীয় মুসলিমদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। নাগরিকত্ত্ব সংশোধনী বিলের মাধ্যমে হিন্দু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ত্ব দেওয়া হবে। যে সমস্ত মুসলিম, ভারতে বিগত কয়েক দশক ধরে বাস করছেন এবং তাঁদের প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকত্ত্বের প্রমাণ রয়েছে, তাঁদের কোনও ক্ষতি হবে না। তাঁরা দেশের নাগরিক থাকবেন”।

Advertisement

নাগরিকত্ত্ব বিলে ২০১৯-এ (সংশোধনী)ভারতে সাত বছর বাস করলে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের, হিন্দু, খ্রিশ্চান, শিখ, বৌদ্ধ এএবং পারসিদের নাগরিকত্ত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, কোনও নথি দেখাতে না পারলেও তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ত্ব দেওয়া হবে। ৮ জানুয়ারি শীতকালীন অধিবেশনে বিলটি পাশ হয় এবং উচ্চকক্ষে পাশ হয়নি।

১ অক্টোবর কলকাতায় নাগরিক সম্মেলনে ভাষণ দিতে আসছেন অমিত শাহ

Advertisement

এনআরসি নিয়ে একটি আলোচনাচক্রে দিলীপ ঘোষ বলেন, “যারা বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ করেছে, একমাত্র তাদের চিন্তার কথা, কারণ, একবার এনআরসি কার্যকর করা হলে, তাদের চিহ্নিত করা হবে এবং দেশের বাইরে ছুঁড়ে ফেলা হবে”। গেরুয়া শিবিরের বঙ্গ ব্রিগেডের ক্যাপ্টেন বলেন, ভারতীয় মুসলিমদেরও উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত কারণ, তাঁদের চাকরি এবং জীবন জীবিকা হরণ করে নিচ্ছে অনু্প্রবেশকারীরা। বিলটি আবারও শীতকালীন অধিবেশনে পেশ করা হতে পারে জানিয়েছেন দলের বেশ কয়েকজন নেতা।

দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, বাংলাদেশী মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করতে, রাজ্যে তৃণমূল এনআরসির বিরোধিতা করছে, কারণ, তারা তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক। এনআরসিকে “দেশ-বিরোধী” বলে মন্তব্য করে তার বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস

Advertisement

দেশের মধ্যে একমাত্র অসমে এনআরসি কার্যকর করা হয়েছে।৩১ অগস্ট প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement