This Article is From Feb 22, 2020

যাদের ইতিহাস পড়ার ধৈর্য নেই তাঁরাই নেহেরুকে খলনায়ক বানাচ্ছেন: মনমোহন সিং

জাতীয়তাবাদের ভাবনা ও 'ভারত মাতা কি জয়' স্লোগানের অপব্যাবহার করা হচ্ছে। আর মৌলবাদ এবং আবেগের পরিসর প্রতিষ্ঠা করার প্রয়াস এর নেপথ্যে কাজ করছে

যাদের ইতিহাস পড়ার ধৈর্য নেই তাঁরাই নেহেরুকে খলনায়ক বানাচ্ছেন: মনমোহন সিং

ভারত সজাগ ও সতর্ক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মর্যাদা পেয়েছে বিশ্বে। এর নেপথ্যের কারিগর জওহরলাল নেহেরু। এদিন বলেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী

হাইলাইটস

  • বিজেপির সমালোচনায় শনিবার সরব হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং
  • "জাতীয়তাবাদ শব্দের অপব্যবহার করা হচ্ছে", এদিন সরব হয়েছিলেন তিনি
  • মৌলবাদ প্রতিষ্ঠা করতে এই উদ্যোগ, দাবি করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী
নয়া দিল্লি:

জাতীয়তাবাদের ভাবনা (Nationalism) ও 'ভারত মাতা কি জয়' (Bharat Mata ki Jay) স্লোগানের অপব্যাবহার করা হচ্ছে। আর মৌলবাদ এবং আবেগের পরিসর প্রতিষ্ঠা করার প্রয়াস এর নেপথ্যে কাজ করছে। এই প্রয়াস থেকে শতযোজন দূরে সাধারণ নাগরিকরা। শনিবার বিজেপিকে (BJP) কটাক্ষ করে এমন সমালোচনা করলেন মনমোহন সিং (Monmohan Singh)। 'জহরলাল নেহেরুর কাজ এবং ভাবনা'  শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এদিন মুখ খোলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।শনিবার ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত জমায়েতের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মনমোহন সিং বলেছেন, সজাগ ও সতর্ক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে স্থান করে নিয়েছে ভারত। দেশের এই অবস্থান তৈরি করার মূল কাণ্ডারি জওহরলাল নেহেরুই (Jawahar Lal Nehru)। শনিবার দাবি করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

"বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী প্রধানমন্ত্রী," প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিচারপতি অরুণ মিশ্র

তাঁর মতে আধুনিক ভারত গড়ার ভাবনা দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু দেখেছিলেন। সেই ভাবনা রূপায়িত করতে ভারতের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ব্যবহার করেছিলেন প্রশাসক নেহেরু। এদিন পুরুষোত্তম আগরওয়াল ও রাধা কৃষ্ণার লেখা 'হু ইজ ভারত মাতা' বইয়ের প্রসঙ্গ টানেন মনমোহন সিং। সেই বইতে জহরলাল নেহেরুর  বিখ্যাত অটোবায়োগ্রাফি বইয়ের প্রসঙ্গ যেমন উল্লেখ আছে, তেমন বিশ্ব ইতিহাস এবং ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ আছে। সেই বইতে নেহেরুর মতাদর্শ, কিছু চিঠি এবং তাঁর কয়েকটা সাক্ষাৎকারের সূত্র টানা আছে। সেই বইয়ের প্রসঙ্গ টেনে এদিন মনমোহন সিং বলেন, "বর্তমান ভারতে এই বইয়ের তাৎপর্য আছে। এখন জাতীয়তাবাদ শব্দ ও ভারত মাতা কি জয় স্লোগানের অপব্যবহার করা হচ্ছে। দেশে মৌলবাদী ভাবধারা প্রতিষ্ঠা করতে এই প্রয়াস। আর সেই প্রয়াসের থেকে শতযোজন দূরে দেশের সাধারণ নাগরিক ও আবাসিকরা।" 

আপে যোগ দিতে চলেছেন প্রশান্ত কিশোর! যোগ দিলে স্বাগত তাঁকে, জানালেন আপ নেতা

তাঁর মতে, "আধুনিক ভারত গড়ার লক্ষে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছিলেন নেহেরুজি।" তাঁর নেতৃত্ব না থাকলে, ভারত আজ বিশ্বমঞ্চে সমাদৃত হতো না। এদিন এমন দাবিও করেন মনমোহন সিং। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, দুর্ভাগ্যবশত একশ্রেণীর মানুষ যাদের ইতিহাস পড়ার ধৈর্য নেই তাঁরা নেহেরুকে খলনায়ক বানাচ্ছেন। তবে আমি আশবাদী ইতিহাসের সেই ক্ষমতা আছে, মিথ্যা ও ভ্রান্ত প্রচারকে দূরে সরিয়ে সব কিছুকে আগের জায়গায় নিয়ে আসবে। 

দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে মনমোহন সিং বলেন, "ভারত মাতা কে? কার জয় আপনারা দেখতে চান? এই পাহাড়, নদী, জঙ্গল, ময়দান সবার কাছে প্রিয়।এই বৃহৎ দেশে ছড়িয়ে আছেন যারা, সেসব মানুষের স্বার্থে এগুলো তৈরি।"

.