CAA: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে বিজেপি গোটা রাজ্যে প্রচার শুরু করেছে
হাইলাইটস
- দেশে এবার এনআরসি প্রয়োগ হবে, দাবি করা হল বিজেপির পুস্তিকায়
- পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির একটি প্রচার পুস্তিকাতেই ওই দাবি করা হল
- "বিজেপির আসল রূপ প্রকাশ পাচ্ছে", বললেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়
কলকাতা: এ যেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের করা দাবিরই উলট-পুরান। যেখানে খোদ প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) সহ গেরুয়া দলের অগ্রভাগে থাকা নেতারা দাবি করছেন যে গোটা দেশে জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকরণ বা এনআরসি নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি, সেখানে তার ঠিক বিপরীত দাবি করতে দেখা গেল পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রচার পুস্তিকায়। যা দেখে-শুনে বিভ্রান্তিতে আম জনতা। সম্প্রতি রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে সওয়াল করে ইংরেজি, হিন্দি এবং বাংলা ভাষায় ২৩ পৃষ্ঠার একটি প্রচার পুস্তিকা বের করা হয়েছে। জানা গেছে যে ওই পুস্তিকাটিতেই দাবি করা হয়েছে যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অর্থাৎ সিএএ (CAA)-র বাস্তবায়নের পর এবার দেশ জুড়ে নাগরিকপঞ্জিকরণ বা এনআরসি (NRC) করাই লক্ষ্য গেরুয়া দলের।
বিজেপি সূত্রে খবর, জনগণের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতি ভয় কমাতে প্রশ্নোত্তরের ধরণে সিএএ-র বিষয়টি সহজ ভাবে বোঝানো হয়েছে। পুস্তিকার একটি প্রশ্নে লেখা আছে, "এর পরে এনআরসি আসবে? এর কতটা প্রয়োজন? এনআরসি প্রয়োগ হলে হিন্দুদের অসমের মতো শরণার্থী শিবিরে যেতে হবে?"
কোনও শিশু এনআরসির জন্য অভিভাবকহীন হবে না: সুপ্রিম কোর্টকে জানাল কেন্দ্র
ওই প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়েছে, "হ্যাঁ, এর পরে তালিকায় এনআরসি রয়েছে। কমপক্ষে, কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্য এটাই।"
পুস্তিকাটিতে আরও দাবি করা হয়েছে যে হিন্দুদের এনআরসি-র কারণে নয়, অসমে বিদেশি আইনের কারণেই তাঁদের শরণার্থী শিবিরে পাঠানো হয়েছে।
"অসমে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুসারেই এনআরসি প্রয়োগ করা হয় এবং এর আগে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস সরকারই ওই ফরেনার্স অ্যাক্ট বা বিদেশি আইন পাস করেছিল। বিজেপি সরকার অসমে এনআরসি আনেনি। বরং এনআরসি-র বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে", এই দাবিও করা হয়েছে ওই গেরুয়া পুস্তিকায়।
এদিকে ওই পুস্তিকাটিতে এনআরসি নিয়ে বিজেপির দাবির প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব বলেছে, "সত্য প্রকাশ পেয়েছে"।
"হিন্দুত্ব ভোট ব্যাংক" সামলাতে নোংরা রাজনীতি করছে বিজেপি: সীতারাম ইয়েচুরি
"বিড়াল এখন ঝুলি থেকে বেরিয়ে এসেছে। বিজেপির আসল রূপ প্রকাশ পেয়েছে। আমরা আগে থেকেই বলে আসছি যে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এনআরসি নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্যের মাধ্যমে আসলে দেশের জনগণকেই বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন", বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন যে, "এই রাজ্য তথা দেশের মানুষ ওঁদের (বিজেপি) এর উপযুক্ত জবাব দেবে।"