শপথ গ্রহণের আগে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পূজো দেন নবীন
হাইলাইটস
- পঞ্চম বারের জন্য ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নবীন
- তাঁর আগে আর কেউ পাঁচবার ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী হননি
- নবীন ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল
ভুবনেশ্বর: পঞ্চম বারের জন্য ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নবীন পট্টনায়ক (Nabin Patanaik) । তাঁর আগে আর কেউ পাঁচবার ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister of Odisha) হননি। রাজ্যপাল (Governor) গণেশ লাল (Ganeshi Lal) আজ সকালে নবীন (Nabin Patanaik) ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান। অন্যবার রাজভবনে শপথ নেন নবীন (Nabin Patanaik)। তবে এবার রাজভবনের বাইরে প্রকাশ্যে পঞ্চমবারের জন্য শপথ নিলেন বিজু জনতা দলের (BJD) নেতা। ১১ জন পূর্ণমন্ত্রী এবং ন'জন প্রতিমন্ত্রীও এদিন শপথ বাক্য পাঠ করেছেন। মন্ত্রিসভায় নতুন মুখের সংখ্যা ১০ জন। মুখ্যমন্ত্রীর দাদা এবং ব্যবসায়ী প্রেম পট্টনায়ক, বোন বিশিষ্ট সাহিত্যিক গীতা মেহেতা (Geeta Meheta)- সহ সাত হাজার অতিথি অভ্যাগত এ দিনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন। অনেকেই বলেছিলেন এবারের নির্বাচন বিজু জনতা দলের জন্য কিছুটা হলেও কঠিন হতে চলেছে। ১৪৭ আসনের বিধানসভার ফলাফল দেখলে অবশ্য এখন তা বোঝার উপায় নেই। একাই ১১২টি আসন জিতেছে বিজেডি। বিজেপি সহ অন্য দলগুলি নিজেদের উপস্থিতি তেমন ভাবে জানান দিতে পারেনি। ‘
এবার বাংলার পাশাপাশি ওড়িশা থেকেও বেশি সংখ্যক আসন চেয়েছিলেন' বিজেপির শীর্ষ নেতারা। দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। একাধিকবার নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ওড়িশার বিভিন্ন প্রান্তে সভা করেছেন। তার ফল যে একেবারে মেলে নি তা নয়। কিন্তু ওড়িশা সরকার গড়তে ব্যর্থ হয়েছে গেরুয়া শিবির। ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে পেরেছে নবীনের দল। এবারের নির্বাচনে ওড়িশার পুরী থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন বিজেপির মুখপত্র সম্বিত পাত্র। কিন্তু রাজ্যের শাসকদলের পরিচিত নেতা পিনাকী মিশ্র তাঁকে প্রায় ১১ হাজার ভোটে পরাজিত করেন।
শপথ গ্রহণের আগে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পূজো দেন নবীন। এদিনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নবীন। কিন্তু তিনি উপস্থিত ছিলেন না। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর বিজু জনতা দলের নেতাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পাল্টা মোদীর সাফল্যের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নবীন। দুজনের মধ্যে ফোনেও কথা হয়েছে। এবার শপথ গ্রহণের পরেও শুভেচ্ছা জানানোর প্রক্রিয়া বজায় ছিল একই ভাবে। টুইট করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য নবীন পট্টনায়ককে অভিনন্দন। মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করার জন্য তাকে শুভেচ্ছা জানাই। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে সমস্ত রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছি আমি।
একটা সময় বিজেপি পরিচালিত এনডিএ-র সদস্য ছিলেন নবীন। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সেভাবেই ওড়িশা সরকার চলেছে। এরপর এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে আসেন নবীন। সেই তখন থেকেই কোনও পক্ষেই চলে যাননি তিনি। এবার মনে করা হয়েছিল কোন দল যদি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় তাহলে বিজেডির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কিন্তু শেষমেষ তা হয়নি। গোটা দেশেই গেরুয়া ঝড় হয়েছে। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কাল বৃহস্পতিবার শপথ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তার আগে বুধবার শপথ নিল ওড়িশার নতুন মন্ত্রিসভা। পঞ্চমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন বিজু জনতা দলের প্রধান নবীন পট্টনায়ক।