অমরিন্দর সিং বলেন, “নভজোত সিধু ভীষণভাবেই আমাদের দলের অংশ।"
নয়াদিল্লি: প্রথমে বিজেপি, তারপর কংগ্রেস হয়ে এখন কি আম আদমি পার্টিতে যোগ দিতে চলেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা রাজনীতিবিদ নভজোত সিং সিধু! এই জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। “সিধু কংগ্রেসেই রয়েছেন ভীষণভাবে এবং আম আদমি পার্টিতে (এএপি) যাচ্ছেন না,” বলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। অমরিন্দর সিং ওরফে ‘ক্যাপ্টেন' জানান মাস্টার স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরই এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। “নভজোত সিধু ভীষণভাবেই আমাদের দলের অংশ। প্রশান্ত কিশোর সিধুকে আপে যোগ দিতে বলতে এসেছেন, এটি সত্যি নয় এবং প্রশান্ত নিজেই এটি আমার কাছে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন,” বলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
প্রশান্ত কিশোর ২০১৭ সালে পঞ্জাবে কংগ্রেসের বিজয়ের পিছনে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন বলেই শোনা যায়। পিকে সম্পর্কে ক্যাপ্টেন বলেন: “আমরা বন্ধু, আমার বিধায়করা চান যে তিনি নির্বাচনের জন্য কৌশল তৈরি করে দিন। প্রশান্ত কিশোর বলেছেন যে তিনি এতে বেশ খুশি হবেন এবং সাহায্য করতে ভালোই লাগবে তাঁর।"
পঞ্জাবে ২০২২ সালে বিধানসভা নির্বাচনের কথা রয়েছে।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আড়ালে থাকা এবং কয়েক মাস ধরে কংগ্রেসের কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশ না নেওয়ায় নভজোত সিধু যে আপ দলে যোগ দিতে চলেছেন এই নিয়ে কথা কানাকানি হতেই থাকে। কারণ আপ এমন একটি দল যেখানে এর আগেও যোগ দিতে গিয়েও সরে আসেন সিধু।
সূত্রের খবর, প্রশান্ত কিশোর পঞ্জাবের প্রাক্তন মন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন এবং তাকে আম আদমি পার্টিতে যোগ দিতে বলেন। ইতিমধ্যেই পঞ্জাব নির্বাচনের জন্য আক্রমণাত্মক প্রচারের পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে আপ।
নিউজ ১৮-কে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দেওয়া জবাব জল্পনাকে আরও জোরদার করে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে সিধুর আপে যোগদানের সম্ভাবনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং আপ প্রধান বলেছিলেন, “তাঁকে স্বাগত।"
২০১৬ সালে, বিজেপি ছাড়ার পরে নভজোত সিধু কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। যদিও একাধিক কানাঘুঁষো শোনা গিয়েছিল যে তিনি আপের সদস্য হতেই চলেছেন। সূত্র বলছে, আপে যোগদানের জন্য নভজোত সিধুর শর্তগুলি নিয়ে মতভেদ ছিল।
তবে কংগ্রেসেও তাঁর ভূমিকা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সন্তোষজনক নয়। নভজোত সিধুর (৫৬) সঙ্গে অমরিন্দর সিংয়ের বিরোধ খুবই প্রকট এবং বহু সংঘর্ষের পরে গত বছর পঞ্জাবের মন্ত্রীর পদ ছাড়েন সিধু। কংগ্রেসের তারকা প্রচারকদের মধ্যে নাম থাকা সত্ত্বেও হরিয়ানায় এবং দিল্লিতে নির্বাচনী প্রচার থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন ক্রিকেটের এই জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার।
অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে তাঁর সমস্যা আরও তুঙ্গে ওঠে যখন মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে নভজোত সিধু তাঁর আপত্তি সত্ত্বেও ইমরান খানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন।