লন্ডনের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট নিয়ে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন শরিফ ও তাঁর কন্যা
নিউ দিল্লি: জেলের লপসি, জেলের ঘানি, জেলের রুটি- কারাবাস করতে গেলে এইসব থেকে বেশিদিন দূরে থাকা একরকম অসম্ভবই। কিন্তু, সে তো সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে। বন্দি যখন হন কোনও দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধান, তখনও যে আইনত এই প্রথার কোনও অন্যথা হয় না, তা লেখাই সঙ্গত। কিন্তু, আইনের মতোই আইনের ফাঁক বলেও তো আরেকটা ব্যাপার থাকে! সেই জায়গা থেকেই সম্ভবত অভিযোগ করেছেন সদ্য দণ্ডপ্রাপ্ত পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পুত্র হোসেন। তাঁর অভিযোগ, রাওয়ালপিন্ডির যে আদিয়ালা জেলে বন্দি রয়েছেন তাঁর বাবা নওয়াজ শরিফ, সেখানে সুযোগ সুবিধা বলে প্রায় কিছুই নেই।
হুসেন নওয়াজ শরিফ অভিযোগ জানান, জেলের মধ্যে একটি বিছানাও দেওয়া হয়নি নওয়াজ শরিফকে। যে বাথরুমটি রয়েছে, তা অত্যন্ত নোংরা। তিনি বলেন, “সম্ভবত বছরের পর বছর ওই বাথরুমটা পরিষ্কারই করা হয়নি”।
অ্যাভেনফিল্ড দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার আবুধাবি থেকে লাহোরের আলামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গেই রাত আটটা আটচল্লিশ নাগাদ নওয়াজ শরিফ ও তাঁর কন্যা মরিয়মকে গ্রেফতার করে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো বা ন্যাব।
আদিয়ালা জেলে যাওয়ার পরের দিন নওয়াজ শরিফের কৌঁসুলিদের তাঁর সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়। সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, শরিফের কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, তাঁদের মাত্র পাঁচ মিনিটের জন্য শরিফের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়।
ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন শরিফের কৌঁসুলিরা।
নওয়াজ শরিফকে জেলের মধ্যে ‘বি’ ক্লাসের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ বন্দিদের থেকে ‘বি’ ক্লাস বন্দিরা পাকিস্তান জেলে কিছুটা বেশি সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন। নিজেদের খরচে এমনকি তাঁরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র অথবা টেলিভিশনও রাখতে পারেন।