This Article is From Mar 24, 2020

সাত মাসের বন্দিদশার শেষে মঙ্গলবারই মুক্তি পেলেন ওমর আবদুল্লা

Omar Abdullah: কিছুদিন আগে কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে জন নিরাপত্তা আইন বন্দি করার ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার, তারপরেই আদালতে যান ওমরের বোন

সাত মাসের বন্দিদশার শেষে মঙ্গলবারই মুক্তি পেলেন ওমর আবদুল্লা

Jammu And Kashmir: ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগেই বন্দি করা হয় ওমর আবদুল্লাকে

হাইলাইটস

  • মঙ্গলবারই মুক্তি পেলেন ওমর আবদুল্লা
  • কিছুদিন আগে মুক্তি দেওয়া হয় তাঁর বাবা ফারুক আবদুল্লাকেও
  • জন নিরাপত্তা আইনেই আটক করে রাখা হয় ওমর এবং ফারুক আবদুল্লাকে
শ্রীনগর/ নয়া দিল্লি:

মঙ্গলবার স্বাধীন হাওয়ায় শ্বাস নিলেন ওমর আবদুল্লা, সাত মাসের বন্দিদশার শেষে আজই মুক্তি দেওয়া হল ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতাকে (Omar Abdullah)। ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) ৩৭০ ধারা বিলোপ করে সেখানকার বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় সরকার, তার ঠিক আগেই ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিকে আটক করা হয়। সম্প্রতি ফারুককে মুক্তি দেওয়া হলেও জননিরাপত্তা আইনে বন্দিই ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাকে। এর আগে ওমরের মুক্তির দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁর বোন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহেই দেশের সর্বোচ্চ আদালতে কেন্দ্রের কাছে এই বিষয়ে জবাব তলব করে। এরপরেই ওমর আবদুল্লাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

ওমরের মুক্তিতে খুশি ব্যক্ত করেছেন মেহবুবা মুফতি। টুইটে তিনি লিখেছেন, "তাঁকে মুক্তি দেওয়ার খবরে আমি খুশি"। কিন্তু তাঁকে এখনও আটক করে রাখা প্রসঙ্গে মেহবুবা বলেন, "নারী শক্তি ও নারী মুক্তি সম্পর্কে সরকার এত কথা বললেও এটা বুঝতে পারছি যে এই সরকার নারীদের সবচেয়ে বেশি ভয় করে।"

কিছুদিন আগে ওমর আবদুল্লাকে জন নিরাপত্তা আইন বন্দি করার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। একটি ডসিয়ারের মাধ্যমে জানানো হয় কেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতাকে বন্দি করা হচ্ছে ওই কড়া আইনে। কেন্দ্রীয় সরকার ওই ডসিয়ারে আসলে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতার বিরুদ্ধে "জঙ্গিবাদ এবং ভোট বয়কট চলাকালীনও সমর্থন সংগ্রহের চেষ্টা" অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ওমর আবদুল্লার মুক্তির বিষয়ে তাঁর বোনের আবেদনে প্রশাসনকে আদালতের নোটিস

ওই ডসিয়ারে আরও বলা হয়েছে যে, ওমর আবদুল্লা যে কোনও সময়েই কাশ্মীরের লোকজনকে প্রভাবিত করতে পারেন এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বর্জনের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে ভোটারদের ঘর থেকে বাইরে বের করে আনার বিষয়ে তাঁর সক্ষমতার কথাও উল্লেখ করা রয়েছে সেখানে। "যে কোনও সময়ে লোকজনকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। কেননা যেভাবে এর আগে জঙ্গিবাদের কারণে ভোট বয়কটের সময়েও তিনি ভোটারদের ঘরের বাইরে বের করে এনে বিপুল সংখ্যক ভোট দিতে উৎসাহিত করতে পেরেছিলেন তাতে বোঝা যায় যে তিনি মানুষকে যে কোনও বিষয়ে প্রভাবিত করতে সক্ষম", বলা হয়েছে ডসিয়ারে।

সুপ্রিম কোর্টে ওমর আবদুল্লার বোন সারা আবদুল্লা বলেন, তাঁর দাদাকে এইভাবে গ্রেফতার করায় আসলে বাক স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। এই ধরণের পদক্ষেপ আসলে "সমস্ত রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের দমিয়ে রাখার লক্ষ্যে ধারাবাহিক ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার অংশ", একথাও বলেন তিনি।

৭ মাস বন্দি থাকার পর, ছেলের সঙ্গে দেখা করলেন ফারুক আবদুল্লা

ওমর আবদুল্লাকে জন নিরাপত্তা আইনে বন্দি করার সময় সরকার জানায়, কাশ্মীরের জনগণের মধ্যে ওমরের প্রচণ্ড জনপ্রিয়তা রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার বলে: "উনি একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব এবং যে কোনও ভাবে সাধারণ মানুষকে উস্কে দেওয়ার শক্তি রাখেন তিনি, এবং তাঁর এই ধরণের কাজ করার প্রচণ্ড সম্ভাবনা রয়েছে"।

কিন্তু ওমরের বোনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত কেন্দ্রের জবাব তলব করার পরেই নড়েচড়ে বসে সরকার। এরপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে মঙ্গলবার মুক্তি দেওয়া হবে।

.